বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী : শনিবার, ১৩ আগস্ট, সিরাজগঞ্জে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধের নির্মন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নির্মানাধীন মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘর,স্মৃতি সৌধ আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর হয়ে থাকবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহম্মেদ। আলোচনা সভায় সিরাজগঞ্জ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘‘মুক্তিযুদ্ধর স্মৃতি জাদুঘরের ৫৫% ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্মৃতি সৌধ ৪০% নির্মান কাজ কাজ শেষ হয়েছে । আগামী মহান বিজয় দিবসের পূর্বেই নির্মান কাজ শেষ হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম,সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানা, পলাশ ডাঙ্গার সহকারী পরিচালক অ্যাড. বিমল কুমার দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মাখন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন ফিরোজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. সুকুমার চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাটের জাঙ্গালিয়া গ্রামে গড়ে ওঠে বেসরকারি গেরিলা মুক্তিবাহিনীর দল পলাশ ডাঙ্গাযুব শিবির। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর স্মৃতি রক্ষার দাবি জানায়। এপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড়ে উত্তরবঙ্গ গামী মহাসড়কের পাশে নির্মিত হচ্ছে এই দৃষ্টি নন্দিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর ও স্মৃতি সৌধ।