রায়গঞ্জ থেকে মো: মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন হাটবাজারের মোড়ে মোড়ে অটোভ্যানের দাপটে বিপাকে পড়েছেন দোকান মালিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোভ্যানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এসব ইজিবাইক ও অটোভ্যানের জন্য নেই কোনও নির্ধারিত স্থান। যে-যার মত করে ইজিবাইক ও অটোভ্যান থামিয়ে যাত্রী ওঠা-নামা করছে। ফলে একদিকে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট অন্যদিকে ঘটছে দূর্ঘটনাও।
উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী বাজার ও হাটপাঙ্গাসী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামপাঙ্গাসী বাজার জামে মসজিদের সামনে, পাঙ্গাসী লায়লা মিজান স্কুল অ্যান্ড কলেজ গেটের পূর্বপাশে, হাটপাঙ্গাসী বাজার চৌরাস্তা মোড় রিপন কসমেটিকস এর দোকানের সামনে, খলিল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ের অর্ধেক সড়ক জুড়ে যাত্রী তোলার জন্য অপেক্ষায় প্রায় অর্ধশতাধিক ইজিবাইক ও অটোভ্যান।
খলিল মোড়ে কথা হয় বেশ কয়েকজন ইজিবাইক ও অটোভ্যান চালকদের সাথে। তারা জানান, কাছাকাছি দুরত্বের স্থানগুলো যাতায়াতে যাত্রীরা অটোভ্যানে উঠতেই বেশি পছন্দ করে। তাছাড়া ইজিবাইক ও অটোভ্যানের জন্য নির্ধারিত কোনও স্ট্যান্ড না থাকায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারের মোড়ে মোড়ে দোকানিদের বঁকা-ঝঁকা সহ্য করেই যাত্রী ওঠা-নামা করানো হয়। আর এই যাত্রীবহন করে প্রতিদিন একেকজন চালক প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এদিকে উপজেলার হাটপাঙ্গাসী বাজারের দোকান ব্যবসায়ী মো. আব্দুল করিম প্রামানিক, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সেলিম সরকার বলেন, ইজিবাইক ও অটোভ্যানের কারনে প্রায় প্রতিদিনও সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। বিশেষ করে দুই ঈদের আগে ও পড়ে। এমতাবস্থায় যানজট নিরসনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ও মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিস মোতায়েনসহ ইজিবাইক ও অটোভ্যানের জন্য নির্ধারিত জায়গায় স্ট্যান্ড করার জন্য জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।