তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জি কে এস জুনিয়র গার্লস হাইস্কুলের নৈশ প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগে সভাপতি মো. রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনে নিয়োগ সম্পন্ন করার যে প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধের জন্য গত ৩ মে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতিষ্ঠানের অবিভাবক সদস্য মো. আক্তার হোসেন।
অভিযোগকারী জানান, আমি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রদান করতে গেলে দেখা যায় সরকারি ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের সভাপতি অফিসে বসে তার লোকজন নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত প্রার্থীদেরকে অবৈধভাবে ১২ মে ২০২৩ইং তারিখে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় আমি অভিযোগের অনুলিপি দিতে গেলে সভাপতি ও তার লোকজন আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে লাঞ্চিত করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে প্রতিবাদ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং অবৈধ নিয়োগ বন্ধের জন্য এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল শেখ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান বাবুল শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করেছি।
অভিযুক্ত সভাপতি মো. রেজাউল করিম ও প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি অস্বিকার করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফকির জাকির হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর বিদ্যালয়ের নিয়োগ পক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।