সিরাজগঞ্জে পিকআপচাপায় গৃহবধূ সেলিনা খাতুনকে (৪৫) মৃত্যুর ঘটনায় আন্তজেলা ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১২ সদস্যরা।
গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মিরপুর মহল্লার মৃত আবুল শেখ ওরফে চাঁন মিয়ার ছেলে মো. লতিফ হোসেন (৪৫), রায়গঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে জহিরুল শেখ (৩৫), বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানার চন্ডীবর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস ছালাম ও টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি থানার বারইপাড়া গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে মো. মিন্টু মিয়া (৩৪)।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলা পঞ্চ সারটিয়া গ্রামে গরু লুট করে নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ায় গৃহবধূ সেলিনাকে পিকআপ চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। এতে ঘটনাস্থলেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। আহত হন তার ছেলে জুবায়ের। এ ঘটনায় সেলিনার স্বামী আমির চাঁন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও র্যাব গোয়েন্দা শাখার সার্বিক সহযোগিতায় বুধবার রাতে সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা দলের ৪ সদস্যকে আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের পঞ্চসারটিয়ার গ্রামের আমির চাঁনের বাড়ি থেকে গরু পিকআপযোগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ডাকাত দল। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির গৃহবধূ সেলিনা খাতুন, তার স্বামী ও দুই ছেলে বাইরে বের হয়ে আসেন। এ সময় গৃহবধূ সেলিনা খাতুন ও তার ছেলে জুবায়ের পিকআপের সামনে দাঁড়িয়ে থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা পিকআপ না থামিয়ে দ্রুত গতিতে মা ও ছেলেকে পিষ্ট করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সেলিনা নিহত ও ছেলে জুবায়ের গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় চরসারটিয়া এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গরুসহ পিকআপটি রেখে পালিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গরুসহ পিকআপটি থানায় নিয়ে আসে।