সিরাজগঞ্জ

সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিকের নাম আয়েশা মঞ্জুর

প্রতিদিন প্রতিবেদক: শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদে সহসভাপতি, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার সদস্য, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নারী নেত্রী আয়েশা মঞ্জুর। সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক আয়েশা মঞ্জুর ২০২৩ সালে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদে অভিষিক্ত হলেন।

প্রতিশ্রুতিশীল ও নিষ্ঠাবান রাজনীতিক আয়েশা মঞ্জুর ১৯৬২ সালের চট্টগ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মরহুম সৈয়দ মমতাজ উদ্দিন ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা তাহেরা বেগম স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে মানুষ গড়েছেন। চাচা সৈয়দ কামাল হোসেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন শহিদ।

আয়েশা মঞ্জুর শৈশব কৈশরে বেড়ে ওঠেন সমুদ্র নগরী চট্টগ্রামে। ১৯৮১ সালে আয়েশা মঞ্জুর সিরাজগঞ্জ হোসেনপুরের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বড় সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সেই থেকে তিনি সিরাজগঞ্জের একজন।

আয়েশা মঞ্জুর তিন সন্তান এর জননী। বড় ছেলে সালমান হক শিবলী ম্যানেজম্যান্টে মাস্টার্স শেষ করে ঢাকায় ব্যবসা করছেন। একমাত্র মেয়ে শারমিন মঞ্জুর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষা শেষ করে ঢাকায় বসবাস করছেন। ছোট ছেলে সাকিব শাহরিয়ার আইসিএমবি কোর্সে অধ্যয়ন করছে।

এই দম্পতির দুপরিবারই মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠেন আয়েশা। বুকে লালন করেন মুক্তিযুদ্বের চেতনা। এই চেতনাকে ধারণ করেই তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। শুরু করেন তৃণমুল পর্যায় থেকে। তিনি ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের মরহুম মমতাজ আপা ও সাধারণ সম্পাদক সেলিনা বেগমসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ তাকে পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। ২০১২ সালে এসে পৌর কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। অত্যন্ত সৎ রাজনীতিক হওয়ায় সমাজসেবা অধিদপ্তর ও এমপির প্রতিনিধি হয়ে ভাতাবিষয়ক কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০২৩ সালে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি পদে অভিষিক্ত হন।

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে রাজনীতি করার অভিযোগে ২০০১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জামায়াত-বিএনপির হিংসাত্মক রাজনীতির শিকার হয় তার গোটা পরিবার। বেশ কয়েকবার তাদের হোসেনপুরস্থ বাসভবনে হামলা হয়। মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে অনেক বছর থাকতে হয় এখানে সেখানে অস্থায়ী নিবাসে। সেসময় তার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হককে অনেকবারই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

স্বামী মঞ্জুরুল হক যতবারই নিবর্তন ও হয়রানীর শিকার হতেন তাঁর অবর্তমানে পরিবারের সকল দায়ভার আয়েশা মঞ্জুর একাই সামলে নিয়েছেন। পরিবারের  প্রতি এই ত্যাগকে সততার প্রতীক ধরে নিয়ে একদিকে সংসার অন্যদিকে দলের সকল কর্মকান্ডে অংশ নিয়েছেন। নিষ্ঠার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দলের দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ওইরকম দুঃসময়ে টিউশনি ও এনজিওর কাজ করেও সংসারের ব্যয়ভার বহন করতে হয়েছে আয়েশা মঞ্জুরকে। সংগ্রাম করে, অনেক কষ্ট করে, তিন সন্তানের উচ্চ শিক্ষা শেষ করেছেন।

আয়েশা মঞ্জুর অত্যন্ত কর্মঠ, পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল ও প্রতিভাবান মানুষ। আগামীদিনে তাঁর কর্মচাঞ্চল্যে সমাজ ও সমাজের অনগ্রসর মানুষ উপকৃত হবে, বিকশিত হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের আকঙ্খা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আয়েশা মঞ্জুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button