শীতের আমেজ মাত্র শুরু হয়েছে। আর শীতের শাক-সব্জি অল্প-বিস্তর হাট-বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম হাতের নাগালের বাইরে। চলনবিল অধ্যূষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশের হাট- বাজারে আলুসহ সব ধরণের সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দিন ধরে আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০ টাকায়। তরিতরকারী এবং সবজির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিন্ম ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চলতি সপ্তাহে তাড়াশ উপজেলা বৃহত্তর নওগাঁ হাট, তাড়াশ পৌর বাজার, বিনসাড়া, রানীরহাট, গুল্টা হাট, ধামাইচ হাট, নাদোসৈয়দপুর হাট, বারুহাঁস হাটসহ বেশ কিছু বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আলু তিন চার দিন ধরে প্রকার ভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ৪০ টাকা কেজির বেগুন হঠাৎ করেই ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি ৪০ টাকা কেজি দরের পটল এখন ৬০ টাকা, করল্লা ৮০ টাকা, কচুর লতা ৮০, বারো মাসি সজনে ডাটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি, চাল কুমড়া মাঝারি আকারের প্রতিপিছ ৪০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পালং শাক কেজি ৮০ টাকা, মূলার শাক আঁটি ২০ টাকা, লাল শাক ১০টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে। আর পূঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি ধরে।
এ দিকে তাড়াশ পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা পৌর এলাকার আসানবাড়ি গ্রামের গহবধূ আমেনা বেগম বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ সব সময় শহর এলাকার চেয়ে কিছুটা কম দামে সবজি কিনে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম এলাকায়ও সবজির দাম ব্যাপক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া এক লাফে আলুর দামও দুই-তিন দিনের মধ্যে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। ফলে নিন্ম আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো ব্যবসায়ী যদি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।