সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আলপনা খাতুন নামের এক হত দরিদ্র গৃহবধূর মাতৃত্বকালীন টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য লতা খাতুনের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য।
অভিযোগ উন্থাপনকারী আলপনা খাতুন বলেন, ২০১৭ সালে আমাকে মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেয় ইউপি সদস্য লতা খাতুন। কার্ড করে দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা নেয়। এরপর ভাতা কার্ডের বহি ও চেক বহি তার কাছেই রেখে দেয়। ভাতা কার্ড হওয়ার পর থেকে তাকে শুধু ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
হতদরিদ্র এই গৃহবধূ আরও বলেন, ইউপি সদস্য লতা খাতুনের কাছ থেকে ভাতা বহি ও চেক বহি চাইলে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। টাকা চাইলে একাউন্টে টাকা আসেনি বলে জানিয়ে দেয়। কিন্ত গত বুধবার ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলে দেখতে পায় ২০২২ সালের পহেলা আগষ্ট একাউন্টে ৯ হাজার ৬০০ টাকা জমা হয়েছে। ওই বছরের ১১ আগষ্ট মাসে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য লতা খাতুন বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার সময় টাকা নিয়েছি। কিন্তু ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এদিকে সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভাউচার দেখে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষর মিলিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা হবে।
নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা নাছরিন বলেণ, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।