সদরসিরাজগঞ্জ

জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারীদের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ

সিরাজগঞ্জ জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ ২৫ জন ইমাম ও শ্রেষ্ঠ খামার প্রতিষ্ঠাকারী ইমামগণের মাঝে চেক ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে এ কে শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ২৫ জনের মধ্যে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার ২০০ শত টাকার চেক সনদ বিতরণ করা হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক আহামেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে, বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আজকে আপনারা জেলা পর্যায়ে সন্মাননা টাকার চেক গ্রহণ করছেন আগামীতে আমি আশা করবো ইনশাআল্লাহ জাতীয় পর্যায়ে সন্মাননা পাবেন, এই আশা করছি। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। তাই খেয়াল রাখতে হবে অন্যের ওপর কোনো অন্যায়-অবিচার না হয় বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ যেন সৃষ্টি না হতে পারে।

‘শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মবাণী একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ ইসলাম শান্তির ধর্ম, সহনশীলতার ধর্ম; যা আমাদের নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়েছেন। তাঁর যে বিদায় হজের বাণী, সেই বাণীই আমরা অনুসরণ করি-কাজেই সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের দেশের কোনো ছেলেমেয়ে যেন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য আপনারা যথাযথ শিক্ষা দেবেন এবং সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য আমাদের প্রকৃত যে ধর্ম, শান্তির ধর্ম, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।

অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ে চৌহালী উপজেলার মডেল কেয়ার টেকারও চৌহালী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো. আব্দুল লতিফ চতুর্থ বারের মত শ্রেষ্ঠ ইমাম প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করায় চেক ও সনদ হাতে তুলেদেন জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এসময় আব্দুল লতিফ তার অনুভূতিতে প্রকাশ করে বলেন, তাঁর এ কৃতিত্বের জন্য মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া আদায় করে জানান, আগামীতে আমি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মডেল কেয়ার টেকার নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে সবার নিকট দোয়া চাই।

উল্লেখ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষে মসজিদের ইমামগণকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেখান থেকে বাচাই করা হয় অর্থাৎ নির্বাচন করা হয় জেলার শ্রেষ্ঠ ইমাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button