ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকালে তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিপণি (বস্ত্র্র) দোকান গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। উপজেলার সদর জোতপাড়া, খাষকাউলিয়া কে আর পাইলট মডেল সরকারি স্কুল মোড়, হাসপাতাল মোড়,কোদালিয়া, রেহাই পুখুরিয়া, ভুতের মোর , বিনানই, কড়ইতলা হাট-বাজারসহ বিভিন্ন ছোট বড় দোকান গুলোতে কেনাকাটা জমে উঠেছে। গেল দুই বছর করোনার কারণে ভালো বিক্রি হয়নি। তাই এবার ভালো বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার উপজেলার জোতপারা হাট-বাজার সহ বিভিন্ন মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা যায়, কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরুষের তুলনায় নারী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ কেউ পাশের উপজেলা নাগরপুর ও টাঙ্গাইলে গিয়ে কেনাকাটা করতে যাচ্ছেন। এছাড়াও চরের নারীরা নৌযোগে এনায়েতপুর ও বেড়া কেনা কাটা করতে যাচ্ছে।
জোতপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আব্বাস আলী জানান, এবারের ঈদে সারারা-গারারা ও কাঁচা বাদামের চাহিদা বেশি। ড্রেস গুলো ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে গরম থাকার কারণে দেশি সুতি থ্রি-পিচ কিনছেন অনেকে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্তই চলছে বেচাকেনা।
আকাশ বস্ত্রালয়ের মালিক জাকির হোসেন বাবলু জানান, ছেলেদের কাপড়ের মধ্যে চাহিদার শীর্ষে পাঞ্জাবি। এ ছাড়া জিনস প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়।
জোতপারা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম গনি মোল্লা জানান, গত দুই বছরের ঈদ লকডাউনের বিধিনিষেধে কেটেছে। এ বছর করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আশা করি, ভালো কেনাবেচা হবে। এবার ঈদে ছেলেদের কাবলী সেট ও মেয়েদের টু-পিছ বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি গেঞ্জি, শার্ট-প্যান্টও কিনছেন অনেকেই।
কলেজ ছাত্রী আকলিমা খাতুন জানান, প্রতি বছরের তুলনায় এ বছরের দামটা একটু বেশি। ফুটপাতে দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় মধ্যম আয়ের ক্রেতারা মার্কেট থেকে না কিনে ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন।
কেয়ার মোর মার্কেটের হাবিবা বেগম বলেন, সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। অন্য বছরের তুলনায় কাপড়ের দাম বেশি বলে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে চৌহালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুন অর রশিদ জানান, ঈদকে ঘিরে উপজেলার শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতানগুলোতে কেনাকাটার চাপ বেড়েছে। এ সময় অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট, শপিংমল, সড়কের সম্মুখে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি যানজট নিরসনেও বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে থানা পুলিশ।