স্টাফ রিপোর্টার : লাইট হাউজের উদ্যোগে প্রায়োরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সার্ভিসেস ফর দি পপুলেশন ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের উদ্যোগে এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধ বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর সাকলে সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আইসিডিডিআরবির কারীগরি সহায়তায় ও দি গ্লোাবাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীগণ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান । আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ এর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার রাশেদ হোসাইন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ফরিদুল ইসলাম। সভায় লাইট হাউস এর পরিচিতি ও প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সাব ডিআইসি ইনচার্জ লাইট হাউস সিরাজগঞ্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীগণ প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং চলমান কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের সহকারী কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে যে সকল উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করছে তাদের নিয়ে কাজ করা খুব কঠিন্। তিনি আরও বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে ।
এসময় তিনি আরও বলেন, লাইট হাউস এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে ঝুঁকিপূর্ণ পূরুষ , মহিলা যৌনকর্মী এবং হিজড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষিত জনগোষ্ঠী আসলে পরিবার এবং সমাজের অবহেলিত এবং এইচআইভির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশের এইচআইভি এইডসের বর্তমান পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই আমাদের সকলের উচিত এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা। এসময় তিনি জানান, প্রকল্পের কোন বেনিফিসিয়ারীর যদি কোন চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন হয়, তাহলে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবডিআইসি ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট মো. রুবেল হোসেন।