ফতেয়া দিয়েছেন আফগানিস্তানের তালেবান আমির, সুপ্রিম কমান্ডার আখুন্দজাদা। বহু বিয়ের বন্ধের এই ফতেয়া নৈতিক নয় এরকারণ অর্থনৈতিক, একেবারেই অভাবের টানাটানির সংসারের কারণে
আফগানিস্তানের শাসক তালেবান প্রধান হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা সম্প্রতি ফতেয়া দিয়েছেন অভাবের সংসারে একটির বেশি বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে। তালেবান ফতেয়া বলে কথা। খুশি থাকুন আর নাই থাকুন আমিরের ফতোয়া মানতেই হবে। এটাই কর্তব্য। তবে আপতত সাধারণ পুরুষ নাগরিকদের ভয়ের কিছু নেই। কারণ তালিবান প্রধানের ফতেয়া আপাতত নিজের সংগঠনের সদস্য ও যোদ্ধাদের জন্য, দেশের সাধারণ পুরুষদের জন্য নয়। কিন্ত তারপরও আফগানদের যেন ভয় কাটছেই না, তাঁদের অনেকেই প্রমাদ গুনছেন কবে যে সকলের ঘাড়ে এই ফতোয়া জারি হয়।
তালেবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরপরই গলায় কালাসনিকভ রাইফেল ঝুলিয়ে, পায়ের জুতোসহ দামি শোভায় পা তুলে দিয়ে যে আরামে মহাআনন্দে বসে থাকতে দেখা গেছে, সেই তালেবানরা খুব একটা আরামে নেই। আইএস জঙ্গিরা যেভাবে চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে ক্ষমতাসীন তালেবান যোদ্ধারা খুব একটি সুখে নেই। তাই সুখ আর শান্তি খুঁজতে অনেক তালেবানই একের পর এক বিয়ে করে চলেছেন!
তাই তালিবান আমির, সুপ্রিম কমান্ডার হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা ফতোয়া দিলেন বহুবিবাহ বন্ধ। ভাববেন না এ নির্দেশনা কোন নৈতিক আদর্শের ওপর দাঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ ফতেয়ার কারণটা একেবারেই অর্থনৈতিক। কাবুলের বখতার সংবাদ সংস্থা শনিবার জানিয়েছে, আখুন্দজাদার ফতোয়ায় বহুবিবাহকে ‘অকারণ অপব্যয়’ বলা হয়েছে। আফগানিস্তানের ‘তালেবান ইসলামি আমিরশাহী’ যে শরিয়তি ব্যবস্থা মেনে চলে, তাতে একজন পুরুষ চারটে পর্যন্ত বউ রাখতে পারেন। বহুবিবাহ আফগানিস্তানে একটি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু আমির তাঁর নির্দেশে স্পষ্ট বলেছেন তালেবানরা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বিয়ের পানি গ্রহণ করতে পারবেন না।
এখানেই শেষ নয়, দেশের ‘আমর-উল মার-উফ’ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যোদ্ধারা এই নির্দেশ মানছেন কি না সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে। নির্দেশ অমান্যকারীদের নাম-ধাম আমিরের দফতরে জানাতে হবে, যাতে তাঁর শাস্তি বিধান করা সম্ভব হয়।