সিরাজগঞ্জ

এনডিপি সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর উপজেলা সমন্ময় ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) এনডিপি মাছুমপুর শাখায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর আওতায় উপজেলা সমন্ময় ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশিস কুমার দেবনাথ, এনডিপি পরিচালক (সিএসপি) মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচলক (সিএসপি) সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ।

উপপরিচালক তার বক্তব্যে বলেন ২০২৩ সাল হতে পারে দূর্ভিক্ষের বছর। সেক্ষেত্রে কৃষির উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। মাঠ পর্যায়ে সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এনডিপি দীর্ঘদিন কৃষি খাতে কাজ করে আসছে।সংস্থার কাজের পরিধি ব্যাপক। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এনডিপি’র কৃষি ইউনিটের সাথে আছে এবং আগামীতে থাকবে। বাংলাদেশ ২০৩০ সাল হবে ক্ষুধামুক্ত এবং দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের কৃষি হবে প্রধান হাতিয়ার। দিন দিন আমাদের দেশের আবাদি জমি হৃাসের কারণে নিয়মতান্ত্রিক কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জমির সুষ্ঠ ব্যবহার করতে হলে জৈব সার ব্যবহারের পাশাপাশি সুষম রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। দেশে খাদ্যের ঘাটতি যেন না হয় সেজন্য ক্রপিং প্যাটার্ন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের অধিকাংশ জমি নিম্ন মধ্যাঞ্চল হওয়ার কারনে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রুপান্তর করতে হলে স্বল্প মেয়াদী বিভিন্ন ফসলের জাত নির্বাচন করতে হবে। বিভিন্ন মৌসুমে সঠিক সময়ে সঠিক জাত নির্বাচন করে উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এনডিপি’র অনেক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার কথা স্মরণ করেন। কাজেই সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের সম্পর্কে অবগত। এনডিপি মাঠ পর্যায়ে প্রাণিসম্পদের কার্যক্রম প্রশংশনীয়।

মোসলেম উদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে উপ পরিচালকের দপ্তরের সাথে সমন্ময় করে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শ দেন। সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কার্যক্রম এনডিপি’র ২০১৩-১৪ অর্থ বছর থেকে শুরু এবং অদ্যবধি বিভিন্ন ফসলের চাষ এবং উক্ত প্রদর্শনীর বাস্তবায়নের পাশাপাশি সম্প্রসারণের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশ সরকারের ভীষন বাস্তবায়নের জন্য কোন আবাদি জমি যেন পতিত না থাকে এবং কিভাবে বিভিন্ন ফসলের স্বল্প মেয়াদি উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করে দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে চাষের আওতায আনা যায় সে পরিকল্পণা গ্রহণের জন্য ইউনিটের কর্মকর্তাদের নির্দেষনা দেন। ইউনিটের কার্যক্রম আরও বেগবান করার জন্য উপ পরিচালকের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য নির্দেশনা দেন। পরিকল্পনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি ইউনিটভুক্ত শাখার ব্যবস্থাপকগণ, সার ,বীজ, কীটনাশক ডিলার, কৃষি ইউনিটের প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী কৃষকবৃন্দ। প্রশিক্ষণে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে কৃষি খাতের বিভিন্ন কার্যক্রম সচিত্র প্রতিবেদন আকারে উপস্থাপন করেন অত্র ইউনিটের কোঅর্ডিনেটর মুহাম্মদ আবদুল হালিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button