সাজিরুল ইসলাম সঞ্চয় : পিতা ভাষাসৈনিক, পিতা-মাতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আনোয়ার হোসেন রতু ও ইসাবেলা শিরাজীর যোগ্য উত্তরাধিকার যমুনা পাড়ের কৃতীসন্তান কবির বিন আনোয়ার। কাছের মানুষের অপু। নামের আড়ালে মানুষটি যেন ঠিক কবিদের মতই মৌনমুখর পদাবলি। রাজনীতি থেকে শিল্প, সাহিত্য থেকে প্রকৃতি, জীবন থেকে জীবন অধিক তার বিস্তৃতি। জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ অলংকৃত করা, প্রভাবশালি ও আলোচিত সাবেক আমলা, নদীপূত্রখ্যাত কবির বিন আনোয়ার কর্মক্ষেত্রে কর্মগুনে নিজেকে আকাশের বিশালতায় মেলালেও জীবনযাপনে বরাবরই অতিসাধারন। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নীতিনির্ধারনী পর্যাায়ে কাজ করলেও সকল প্রলোভনকে পায়ে মাড়িয়ে নিজেকে রেখেছেন নিস্কলুষ, পরিবারকেও পরিচালিত করেছেন সৎভাবে সাধারন জীবনযাপনের শিক্ষায়। যার ফল হিসেবে কর্মজীবনে দক্ষতা ও সততার জন্য তার অবসরের পর ধন্যবাদ প্রস্তাব এনেছে মন্ত্রীসভা, এ এক বিরল সন্মান।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলা সম্ভ্রান্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান কবির বিন আনোয়ার চাকরিজীবন শেষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহনের মাধ্যমে ছাত্রজীবনের মত আবারো ফিরেছেন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। রাজনীতিতে নতুনরুপে আবির্ভুত হয়ে প্রথম সিরাজগঞ্জ সফরেই সিক্ত হয়েছেন জনমানুষের অকৃত্তিম ভালোবাসায়। সরকারের শীর্ষ আমলা হিসেবে ব্যাবহার করা বিলাশবহুল গাড়ি, প্রটোকল ছেড়ে অতিসাধারন এক মোটরযানে চেপে সস্ত্রীক সিরাজগঞ্জে আসা অবাক করেছে সিরাজগঞ্জবাসিকে। নিজ জেলাবাসির দেয়া দুটি গনসম্বর্ধনায় অসাধারনভাবে নিজেকে জনসাধারনের কাতারে মিলিয়ে হাজার হাজার মানুষের হৃদয় জয় করেছেন তথ্যবহুল বক্তব্যে।
জানা যায়, বাবা আনোয়ার হোসেন রতু, একাধারে যেমন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিসেবী, তেমনি মাতা সৈয়দা ইসাবেলা ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও শিক্ষক। বাবার রাজনৈতিক আদর্শ আর মায়ের সৃজনশীল স্বত্বা, এ দুয়ের অনন্যতায় গড়ে উঠেছেন কবির বিন আনোয়ার, হয়ে উঠেছেন এক আদর্শ ও অনুকরনীয় মানুষ।
১৯৬৪ সালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন কবির বিন আনোয়ার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক আবহে বেড়ে ওঠা কবির বিন আনোয়ারের স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজে। সেখানেই শিক্ষকদের নির্বাচনে কলেজ ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের মাধ্যমে হাতেখড়ি ঘটে তার নেতৃত্ব জীবনের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাবস্থায় অংশ নেন সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৮৮ সাল অবধি।
শিক্ষাজীবন শেষে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করার তাগিদে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন কবির বিন আনোয়ার। একাধারে মাঠ প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে থেকে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। মাঠ প্রশাসনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে অর্থ মন্ত্রনালয় ও উপসচিব হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযোদ্ধা দম্পত্তির এই সন্তান।
অতিরিক্ত সচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যাষলয়ে মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের বাতিঘড় হিসেবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সেবা জনগনের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবেও এই সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন কবির বিন আনোয়ার।
২০১৮ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে যোগদান করেন জনপ্রশাসনের দক্ষ এই কর্মকর্তা। দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ ভারত যৌথ নদীগুলোর ব্যাবস্থাপনা এবং অভিন্ন নদ-নদী বিষয়ক দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। এসময়ে তার উদ্যোগে প্রায় ১৪ বছর পর নেপালের সংগে ও প্রায় ১২ বছর পর ভারতের সাথে যৌথ নদীবিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের মধ্যে কুশিয়ারা নদীতে ১৫৩ কিউসেক পানিবন্টন চুক্তি সই হয়।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রীপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন সভাপতি কবির বিন আনোয়ার। তিন সপ্তাহ দায়িত্ব পালন শেষে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ি ৫৯ বছর পূর্ন হওয়ায় ৩’রা জানুয়ারি অবসরোত্তর ছুটিতে যান দেশের ২৩তম মন্ত্রীপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নানা দায়িত্ব পালনের পরও মানুষ, প্রকৃতি ও বন্যপ্রানীর প্রতি কবির বিন আনোয়ারের মমতা অবাক করার মত। তাইতো নিজ মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন ইসাবেলা ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রকৃতি গবেষনা ও সামাজিক কল্যানমূলক সংগঠন। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্পের সাথে একাত্ব হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন কবির বিন আনোয়ার।তার সংগঠন ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশব্যাপি লাগানো হচ্ছে অসংখ্য গাছ। একই সাথে নতুন প্রজন্মের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বছরব্যাপি বিতরন করা হচ্ছে গাছের চারা।
মানবপ্রেমে মত্ত মহৎপ্রান এই মানুষটি সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইসাবেলা বিদ্যা নিকেতন ও ইসাবেলা-আনোয়ার শিশু নিকেতন। যেখানে অসংখ্য শিশু পাচ্ছে বিনামুল্যে বই, খাবার ও শিক্ষার সুযোগ। এই শিশুরাই যেন কবির বিন আনোয়ারের অক্সিজেন। তার হৃদয়জুড়ে এই কমল শিশুদের অবাধ অন্তরন।
করোনা ভাইরাস মহামারি রুপ ধারন করলে সবাই যখন নিজের ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে হয়ে পড়েছিলেন ঘড়বন্দি তখনো কবির বিন আনোয়ার নিজেকে ঘড়বন্দি করেননি। করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছুটে চলেছেন জেলায় জেলায়। ব্যাক্তিগতভাবে ও ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রান নিয়ে দাড়িয়েছেন আর্তমানবতার সেবায়।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর অকৃত্তিম আদর্শ ছড়িয়ে দিতে কবির বিন আনোয়ার হাতে কলম তুলে নিয়েছেন। রচনা করেছেন শোষিতের বঙ্গবন্ধু, প্রণতি বঙ্গমাতা, বিশ্বগণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামহ আরো অসংখ্য বই।
বর্নাঢ্য এই কর্মজীবনে কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। আইটিইউ থেকে ২০১৪, ১৫, ১৭ ও ১৮ সালে বেসিস পুরস্কার গ্রহন করেছেন কবির বিন আনোয়ার। এছাড়াও ২০১৬ ও ১৮ সালে তিনি লাভ করেন জনপ্রশাসন পদক। এমনকি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিবের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ পদক এবং ২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকে ভুষিত হন জনপ্রশাসনের চৌকষ এই কর্মকর্তা। তাছাড়াও সমাজকল্যানের স্বীকৃতিস্বরুপ অতীশ দিপঙ্কর শান্তি পদক দেয়া হয় তাকে।
সত্যের অমোঘ পথটি যার চেনা, তাকে চিনতে ভুল করেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আর তাইতো জাতিসংঘের সহস্রাব্দ সম্মেলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সফরে ছায়ার মত তাকে সাথে রেখেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গি হিসেবে ১৭টিরও বেশি দেশ সফরের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কবির বিন আনোয়ার।
চাকরিজীবন শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আবারো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান পদে কবির বিন আনোয়ারকে ফিরিয়ে এনেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাকরিজীবনের মতই অবসরজীবনেও বঙ্গবন্ধু কন্যার সাথে কাজ করার বিরল সন্মান অর্জন করেছেন তিনি।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এইচ টি ইমামের কক্ষে বসতে শুরু করেছেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এইচ টি ইমামের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল পদটি।
প্রথম দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান কবির বিন আনোয়ার। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর দলের রাজনৈতিক কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী নির্বাচন পরিচালনা ভবনে তাকে অভ্যর্থনা জানান আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া ।
প্রতিটি সময়ে ক্ষমতার এত কাছাকাছি যার অবস্থান জীবনযাপনে ততটাই সাধারন সিরাজগঞ্জের এই কৃতিসন্তান। নির্লোভ, নিরহংকার এই মানুষটি নিজেকে অভ্যাস্ত করে তুলেছেন সাধারন জীবনযাপনে। সুযোগ থাকার পরেও বিলাসী জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে রাজধানির সাদামাটা এক সরকারি বাড়িতে করছেন বসবাস। চাকরিজীবনে পাওয়া বিলাসবহুল গাড়ি ছেড়ে নিজেকে অভ্যাস্ত করে তুলেছেন অতিসাধারন মোটরযানে চলাচলে।
সরকারি চাকরিজীবনে প্রটোকলের বেড়াজালেও নিজ এলাকার মানুষের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলেন তার কাছে যাওয়ার সুযোগ। সাধ্যমত সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন বিপদগ্রস্থদের। রাজনীতিতে নেমেও পা মেলাচ্ছেন জনতার কাতারে। মাইলের পর মাইল জনতার সাথে পায়ে হেটে অংশ নিয়েছেন গণসম্বর্ধনায়।
বিলাসবহুল গাড়ি, সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে হঠাৎ তার এমন সরল-সহজ জীবনযাপন, জনমানুষের মাঝে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার এই সক্ষমতা অবাক করেছে সিরাজগঞ্জবাসিকে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতির তথ্যবহুল বক্তব্য মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনেছেন সিরাজগঞ্জবাসি। দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা হয়েছে অনুপ্রানিত।
সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ খান বলেন, সিরাজগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান কবির বিন আনোয়ারের অতি সাধারন জীবনযাপন ও জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য আমাদের নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রানিত করে। তার জীবনধারা পাঠ করলে আমরা আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিবেদিত করার প্রেরনা খুজে পাই।
সলপ ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি শওকাত ওসমান বলেন, একজন কবির বিন আনোয়ার নিজের ব্যাক্তিত্বে ও কর্মস্পৃহায় নিজেকে সকলের অনুপ্রেরনার উৎসে পরিনত করেছেন। তার জীবনধারা শিক্ষা দেয় কিভাবে ক্ষমতাকে মানবকল্যানে ব্যাবহৃত করে মানবপ্রেমিক হওয়া যায়। ক্ষমতার শিখড়ে আরোহন করেও ক্ষমতার প্রয়োগে বিলাসী জীবন বেছে না নেওয়া একজন কৃতিমানব তিনি।
উল্লাপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান পান্না বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান পদটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ও সন্মানের। যমুনা পাড়ের উজ্জল নক্ষত্র প্রয়াত এইচ টি ইমাম স্যারের পর সিরাজগঞ্জের আরেক কৃতি সন্তান কবির বিন আনোয়ার সেই পদকে অলংকৃত করেছেন, এটি আমাদের জন্য গর্বের। কবির বিন আনোয়ারের মত একজন নির্লোভ, নিরহংকার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকই পারবে বঙ্গবন্ধু কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে এই পদের গুরুদায়িত্ব বাস্তবায়ন করতে।
কিছু মানুষ আছেন, যাদের কর্মময় জীবনের মহাকাব্য লিখতে গেলে মনে হয় ভাষা বড্ড সীমাবদ্ধ। একজন কবির বিন আনোয়ারের কথা লিখতে গিয়ে মনে হয় ‘আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা কতখানি মাপতে পারেন আকাশকে? কতটুকুই বা বুঝতে পারে তার বিশালত্ব? এই অক্ষমতাটুকুই আমাদের অলংকার।