উল্লাপাড়া প্রতিনিধি:” উল্লাপাড়ায় বিনামূল্যে চাল, ডাল দেয়ার নামে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কার্ড বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উল্লাপাড়া শাখায় বিনামূল্যে চাল, ডাল দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্যজীবীদের নিকট কার্ড বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উল্লাপাড়া জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দ্স্থু অসহায় মৎস্যজীবীরা বিনামূল্যে চাল, ডাল পাওয়ার আশায় ১২০ টাকার বিনিময়ে আব্দুল আলিমের নিকট হতে কার্ড কিনেছেন । ইতোমধ্যেই তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩ শতাধিক মৎস্যজীবীর নিকট টাকার বিনিময়ে কার্ড বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উল্লাপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম জানান ।
স্থানীয় জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মৎস্যজীবী কার্ডধারীরা জানান, বিনামূল্যে চাল, ডাল নেওয়ার আশায় তাঁরা ১২০ টাকায় জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কার্ড কিনেছেন । বাজারে দ্রব্যমূল্যের দামের কথা ভেবে বিনামূল্যে চাল, ডালের আশায় আব্দুল আলীমের নিকট হতে ১২০ টাকায় কার্ড কিনেছেন তারা। কিন্তু দীর্ঘ দিন কার্ড করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো চাল ডাল পাই নি। এছাড়াও তিনি খরচের কথা বলে কার্ডের ১১০ টাকার জায়গায় অতিরিক্ত টাকা বেশি নিয়েছেন। এছাড়াও কার্ডের বিপরীতে আদৌও চাল ডাল পাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা এবং তিনি সরকারি পুকুর লিজ নিয়ে আমাদের নামে দেওয়ার কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নামে আব্দুল আলীম বিনামূল্যে চাল ডাল দেয়ার কথা বলে ইত্যেমধ্যেই কার্ড বিক্রি করে অনেক টাকা উত্তোলন করেছেন । তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনের নাম দিয়ে এলাকায় দেন-দরবার করে বেড়ান। সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমের ভয়ে জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কার্ডধারীরা অনেকেই মুখ খুলতে ভয় পায়।
এ বিষয়ে আব্দুল আলীমের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি ৩ শতাধিক মৎস্যজীবীর নিকট কার্ড বিক্রি করেছি। আরো ৬ শতাধিক কার্ড বিক্রি করেছেন সভাপতি। তবে আমি চাল ডাল দেওয়ার কথা বলে কার্ড বিক্রি করেনি এবং কার্ডের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়নি।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির উল্লাপাড়া শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্না বলেন , আমার কাছে জেলা থেকে যে কার্ড দিয়েছিলো কার্ডগুলো সেই অবস্থাতেই রয়েছে। আমি কোন ধরনের কার্ড বিক্রি করেনি। আমার নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করছে মানুষের মাঝে। এছাড়াও আপনারা খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন কে আসলে প্রকৃত ভাবে অতিরিক্ত টাকায় কার্ড বিক্রি করেছে। আমি জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির নামে কোন ধরনের কার্ড বিক্রি করেনি। আমার নামে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে আব্দুল আলিম। এ ঘটনা আমি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে জানিয়েছি। তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলেন আশা করছি।
এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জ জেলা জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিন্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কেউ যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে কার্ড বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়ঁতারা করে এবং চাল-ডাল দেওয়ার নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কার্ড বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাল-ডাল দেওয়ার কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কার্ড বিক্রি করার কোন নিয়ম নেই।