তাড়াশ প্রতিনিধি: শীত আসতেই সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় কুমড়ার বড়ি তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। কারণ শীতের মৌসুমে কুমড়ার বড়ির কদরটা একটু বেশিই। তাই প্রতি বছরের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুমড়ার বড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষের অনেকের ভাগ্য উন্নয়নে শ্রম দিয়ে অনেক বছর ধরে এ কুমড়ার বড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের প্রায় ৩০-৪০টি পরিবার। সরেজমিন উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামে দেখা যায়, সারি সারি কুমড়ার বড়ি তৈরি করে শুকানোর জন্য রোদে দিয়েছেন। সারা বছর তৈরি করা সম্ভব হলেও এটি শীতকালেই বেশি তৈরি করা হয়।
উপজেলার নওগাঁ গ্রামের ভাংশিং পাড়ার আবদুল হামিদ জানান, কুমড়ার বড়ি ব্যবসায়ী পরিবারগুলো প্রথম অবস্থায় তেমন সচ্ছল ছিল না। কুমড়ার বড়ির ব্যবসা করে তারা এখন অনেকটাই সচ্ছল অবস্থানে এসেছে। তাছাড়া বড়ি তৈরির জন্য আগে তারা সনাতন পদ্ধতিতে সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে রাখতেন এবং পরের দিন তারা কুমড়োর বড়ি তৈরির জন্য ডাল, রং, তেল, টিন ও শীলপাটায় বেটে বড়ি তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের এত কষ্ট করতে হয় না। এখন মেশিনের মাধ্যমে কুমড়ার বড়ি তৈরির ডাল ফিনিশিং করা যায়।
কুমড়ার বড়ি ব্যবসায়ী হোসেন আলী জানান, হাটবাজারে কুমড়ার বড়ি বর্তমানে খুচরা ১২০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে আশা করছেন আর কয়েক দিন পর আরও দাম বাড়বে। কারণ এ বছর ডালের দাম বেশি, তাই কুমড়ার বড়ির দামও বেড়েছে।
তাড়াশ উপজেলার কুমড়ার বড়ির কারিগর মকলেছ জানান, অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এ অঞ্চলের কুমড়ার বড়ি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। বিশেষ করে ঢাকায় চাহিদা রয়েছে বেশি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, এ অঞ্চলের কুমড়ার বড়ির কদর রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাই বেশি কাজ করেন।