টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১১ সালের ২০ জুন কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে পা রেখেছিলেন পরবর্তী সময়ে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক হয়ে ওঠা বিরাট কোহলি। এমন একটা সময় নিজের টেস্ট অভিষেকের বার্ষিকী স্মরণ করছেন তিনি, যখন তাঁর সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। তিন বছর ধরে টেস্ট তো দূরের কথা, কোনো সংস্করণেই শতরান করতে পারেননি তিনি।
ভারতের জার্সিতেও সাম্প্রতিক সময়ও তাঁর পারফরম্যান্সের বড় প্রভাব নেই। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন, ওয়ানডেতে একরকম দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে, পরে টেস্টের দায়িত্বও ছেড়েছেন। তবে কিছুতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারছেন না। এবার আত্মবিশ্বাসী হতে ল্যাপটপে টেস্ট ক্যারিয়ারের স্মৃতি হাতড়ালেন কোহলি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেটি সবার সঙ্গে ভাগাভাগিও করলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশন করেছেন, ‘সময় বয়ে যায়।’ ৩৩ বছর বয়সী কোহলি ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১০১টি টেস্ট খেলে ৮ হাজার ৪৩ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় ৪৯.৯৫। তাঁর সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি অপরাজিত ২৫৪ রানের। ২৭টি শতকের সঙ্গে ক্রিকেটের এ সংস্করণে তাঁর আছে ২৮টি অর্ধশতক। ২০১৯ সালের নভেম্বরে কলকাতায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিশতকের পর ক্রিকেটের কোনো সংস্করণেই আর শতরান পাননি ভারতের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। এ বছরের জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন।
তবে কোহলি ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়কই। ৬৮টি টেস্টে অধিনায়কত্ব করে জিতেছেন ৪০ টেস্টে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই তিনি অন্যতম সেরা অধিনায়ক। সাফল্যের দিক দিয়ে ইতিহাসে তাঁর অবস্থান ষষ্ঠ। তাঁর আগের নামগুলো হচ্ছে গ্রায়েম স্মিথ, অ্যালান বোর্ডার, স্টিফেন ফ্লেমিং, রিকি পন্টিং ও ক্লাইভ লয়েড।
আইপিএলে বাজে ফর্মেই ছিলেন। একাধিক ম্যাচে ফিরেছেন শূন্য রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামেই ছিলেন। আগামী ১ থেকে ৫ জুলাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে একমাত্র টেস্টে মাঠে ফেরার কথা কোহলির। গত বছর সফরের এ টেস্ট না খেলেই করোনার আশঙ্কায় দেশে ফিরে গিয়েছিল ভারত।