সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে দেবর কর্তৃক শিক্ষিকা ভাবীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়ার মামলায় দুই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছেন তাড়াশ থানা পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রাম থেকে ওই শিক্ষিকার ভাশুড় মো. আব্দুল ওয়াহাব (৬০) এবং ভাতিজা মো. মনিরুল ইসলাম (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, গত শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষিকার স্বামী মো. আব্দুল মুজিব বাদী হয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেবার ঘটনায় চার জনকে আসামী করে একটি থানায় মামলা করেন।
জানা গেছে, উপজেলা সগুনা ইউনিয়নের ধামাইচ হাট বিলচলন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও একই ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল মজিবের সাথে তার সহোদর ভাই আব্দুল ওয়াহাব ও আব্দুর রবের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি আব্দুর রব তাঁর বড় ভাই শিক্ষক মো. আব্দুল মুজিবের জমি বার্ষিক লীজ নিয়ে চাষাবাদ করছেন। তবে তিনি গত এক বছর লীজ নেওয়া জমির লীজের টাকা পরিশোধ করেননি। বরং তিনি এ বছর বড় ভাই মো. আব্দুল মুজিবের ওই জমি নিজের বলে দাবী করেন। এ নিয়ে ভুক্তোভোগী শিক্ষক গত ৩০ অক্টোবর এর প্রতিকার চেয়ে তাড়াশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যা মিমাংসার জন্য ১০ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে উভয় পক্ষকে থানায় হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে আব্দুর রব ও আব্দুল ওয়াহাব এবং দুই ভাতিজা মিলে নওখাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মোছা. নাছিমা খাতুন ও তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে সহকারি শিক্ষিকা মোছা. নাছিমা খাতুনের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় গত শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষিকার স্বামী মো. আব্দুল মুজিবর বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মো. আব্দুল মুজিবের দায়ের করা মামলায় দু’জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।