স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জে গরু চুরি করতে বাঁধা দেওয়ায় পিকআপ চাপায় গৃহবধু হত্যার ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের আরও ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার ষোলাপাড়া গ্রামের তফের আলী ফকিরের ছেলে মো. লিটন ফকির (৪৫), নাটর জেলার সিংগাইর ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. জিল্লুর আকন্দ (৪৮), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ড কিষ্টপুর গ্রামের মৃত ছদর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫)।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বুধবার বিকেলে এতথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পিকআপ চাপায় গৃহবধু হত্যার ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার খিলগাঁর ডিবি পুলিশের সহযোগীতায় সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি তদন্ত মো: নান্নু খান, এসআই ইব্রহিম, এএসআই মহুবার রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে। তাদের বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পঞ্চসারটিয়ার আমির চাঁনের বাড়িতে গরু চুরি করতে যায় চোরের দল। গোয়াল থেকে গরু খুলে পিকআপে তোলার পর বাড়ির গৃহবধু সেলিনা খাতুন ও তার ছেলে জুবায়ের টের পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে তারা পিকআপের সামনে দাঁড়িয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকেন এবং থানায় ফোন করে পুলিশে খবর দেন। এ সময় পিকআপটি তাদের চাপা দিয়ে গরু দুটিসহ পালিয়ে যায়। এতে পিকআপের নিচে পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সেলিনা খাতুন। গুরুতর আহন তার ছেলে জুবায়ের।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদি হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আমিরুল ইসলাম @ আমিরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামালা দয়েরের পর সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।