উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: উল্লাপাড়ার প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামের কৃষি জমির মাঠের ফসল পরিবহণে একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ি। গত এক সপ্তাহ ধরে ১০ থেকে ১২ টি ঘোড়ার গাড়ি উপজেলার সুজা কৃষি জমির মাঠে সরিষা ফসল বহনে খাটছে। পাবনা ও নাটোর জেলা থেকে ঘোড়ার গাড়িগুলো এসেছে। বছরের আট মাস সিংড়ার সুজন বিভিন্ন এলাকায় ফসল পরিবহণে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে যান। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষি জমির সরিষা ফসল পরিবহণে আরো ঘোড়ার গাড়ি আসবে বলে জানান।
সরেজমিনে জানা গেছে,কৃষকেরা জমি থেকে সরিষা ফসল তুলছেন । কৃষকদের বাড়ীর উঠোন আঙ্গিনায় নিতে সরিষা ফসল ঘোড়ার গাড়িগুলোয় বোঝাই দেওয়া হচ্ছে। নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার মহিষখালী গ্রামের সুজন ও পাবনার সাথিয়া উপজেলার হেলাল উদ্দীন তাদের নিজেদের ঘোড়ার গাড়ী নিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন হলো সুজা গ্রামে এসেছেন। এছাড়া জেলা দুটির আরও বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮টি ঘোড়ার গাড়ী নিয়ে মালিক চালকেরা সুজা এলাকায় এসেছেন। এরা সবাই মাঠ থেকে তোলা সরিষা ফসল ঘোড়ার গাড়িগুলোয় বহন করে গৃহস্থ কৃষকদের বাড়ীর উঠোন আঙ্গিনায় পৌঁছেদেন। এক বিঘা জমির সরিষা ফসল বহনে আটশত টাকা নেয় বলে জানান ।
সাথিয়ার হেলাল উদ্দীন বলেন, গত কয়েক বছর হলো তিনি সুজা এলাকায় সরিষা ও বোরো ধান ফসল বহনে ঘোড়ার গাড়ি নিয়ে কৃষি জমির উৎপাদিত ফসল উল্লাপাড়ার প্রত্যান্ত অঞ্চলের কৃষি ফসল বহনে একমাত্র বাহন ঘোড়ার গাড়ী সুজা গ্রামের কৃষক উজ্জল মোল্লা বলেন, আগে মাঠ থেকে সরিষা ফসলসহ বিভিন্ন ফসল মাথায় বয়ে বাড়ীর উঠান ও আঙ্গিনায় নেয়া হত। গত কয়েক বছর হলো তাদের মাঠ হয়ে বয়ে যাওয়া পাকা সাবমার্জিবল সড়ক পথে মাঠের ফসল পরিবহণে বেশ সুবিধা ও সহজ হয়েছে। এখন বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই ঘোড়ার গাড়ী নিয়ে সরিষা ফসল ও বোরো ( ইরি ) ধান কাটা মৌসুমে আসছেন। ঘোড়ার গাড়িতে ফসল বহনে সময় কম ও খরচ বেশ কম হচ্ছে। তিনি প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ করেছেন। এরই মধ্যে প্রায় আড়াই বিঘা জমির তোলা সরিষা ফসল ঘোড়ার গাড়ীতে বয়ে নিজের বাড়ীর উঠানে আঙ্গিনায় নিয়েছেন। সরিষা ও ধান বাহনে কাজ করে আসছি।