সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে ও কামারখন্দ উপজেলা কৃষি মাঠ দিবসে চাষী রফিকুল ইসলামের প্রদর্শনী প্লটের ব্রি-৯২ ধান উপস্থিত চাষীদের দেখানো হয়। এসময় প্রদর্শনী প্লটের ধান নমুনা হিসেবে কেটে ঝাড়াই-মাড়াই শেষে হেক্টর প্রতি ৮.৫ মেট্রিক টন ফলন রেকর্ড করা হয়।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেল ৪ টার দিকে কৃষকদের নিয়ে বোরো মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাত ব্রি ধান ৯২ – এর নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্রি ধান ৯২ ধানের জীবনকাল ১৫৬-১৬০ দিন। ফলনপ্রতি হেক্টরে ৮.৪ হতে ৯.৩ টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হতে পারে বলে কৃষিবিদরা ধারণা করেন। এ ধানের চাল লম্বা ও চিকন। কান্ড শক্ত তাই গাছ হেলে পড়েনা। আবহাওয়া খারাপ হলেও সমস্যা হয়না। ব্রি ধান-২৯ এর থেকে সেচ ও উৎপাদন খরচ কম হয়। ফলন বেশি ও জীবনকাল কম হওয়ায় যেসব এলাকায় ব্রি ধান ২৯ চাষাবাদ করা হয় সেসব এলাকাতে সহজেই ব্রি ধান ৯২ চাষ করা যাবে এবং কৃষক দের ব্রি ধান-২৯ এর পরিবর্তে ব্রি ধান-৯২ চাষ আবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ ছাড়াও কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলেন ও পরামর্শ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাইদী রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এম এম শাহারিয়ার, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) গাজীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম হেসেন, কামারখন্দ উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা মুকুল হোসেন, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিমপিয়া পারভিন।
মন্তব্য করুন