টানা কয়েকদিন ধরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতি বছর বন্যার পানি বৃদ্ধি এবং কমার সময় ভাঙনের কবলে পরে উপজেলা খাষপুখুরিয়া ইউনিয়ন থেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ভুতের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা। এ বছর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই থেকে চরসলিমাবাদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে।
গত ৩ দিনে বিনানই, চরসলিমাবাদ এলাকার ২০ টি বসতভিটা ২ টি মসজিদসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাজার। এছাড়াও বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, মিরকুটিয়া উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, চরসলিমাবাদ বাজার, ঐতিহ্যবাহী সম্ভ‚দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, বাঘুটিয়া কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনজুর কাদের কলেজ সম্ভ‚দিয়া, সম্ভ‚দিয়া আজিজিয়া আলীম সিনিয়র মাদ্রাসা, চরসলিমাবাদ দাখিল মাদ্রাসা, সম্ভ‚দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভ‚দিয়া পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরসলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বিনানই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম মোল্লা বলেন, পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙনের তিব্রতা বেড়েছে, কিছু অংশে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ চলমান থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে বাকি অংশে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর অনুরোধ জানান তিনি।
ভাঙন বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এনায়েতপুর-চৌহালী পওর শাখা) মো. আব্দুল ওহাব বলেন, বর্তমানে ওই এলাকায় ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলমান রয়েছে।