ওমর ফারুক ভুইয়া, কামারখন্দ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৫০ বছরের পুরনো রমনউদ্দিন চৌধুরী জমিদার বাড়ি। অযত্নে-অবহেলায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে জমিদার বাড়িটি।
ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের সময় রাণি ভিক্টোরিয়ার সময় কালে পুঠিয়ায় রানী হোমন্তকুমারীর থেকে রমন উদ্দিন চৌধুরী এই এলাকার জমিদারি পান।
রমনউদ্দিন চৌধুরীর পিতা ছিলেন রমজান উদ্দিন তিন ছিলেন মিশরীয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবসার উদ্দেশে আসেন পরবর্তীতে এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এসময় টাতে তিনি ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করায় পরিচিত এক মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। রমজান উদ্দিন এলাকার মানুষের অধিকার আদায় ও সেবামূলক কাজ করে চৌধুরী উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি এবং তার ছেলে রমন উদ্দিন চৌধুরী শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন।
রমনউদ্দিন চৌধুরীর ইতিহাস থেকে জানা যায় এই বাড়ীটি ১৮৭৩ সালে নির্মাণ করেন রমন উদ্দিন চৌধুরী। পরবর্তীতে জমিদারি পাওয়ার পর এখান থেকেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন তিনি।
রমনউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী ১৯৫০ সনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত কামারখন্দের চৌবাড়ী এলাকার জমিদার ছিলেন। আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী দক্ষতার সাথে জমিদারি পালন করেন। তিনিও একজন শিক্ষা অনুরাগী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ধর্মীয় বাধ্যবাধকতায় মুসলমানরা যেন শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে না পরে সে জন্য তিনি ১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন চৌবাড়ি ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়।
রমনউদ্দিন চৌধুরীর কনিষ্ঠ নাতনি শিরিন সারমিন চৌধুরী জানান, আমরা রমন উদ্দিন চৌধুরীর এই স্মৃতিকে ধরে রাখতে রমন উদ্দিন সম্পর্কে লেখা বই গুলো দিয়ে একটি স্মৃতি পাঠাগার তৈরি ও কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা এই বাড়ী সংস্কার সহ বেশকিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম রমন উদ্দিন চৌধুরী সম্পর্কে জানতে পারে।