সিরাজগঞ্জে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো আলোচনা ও সাংগীতানুষ্ঠান। গত বুধবার ২১ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক গণপতি রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল রেজওয়ানুল ইসলাম ও সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাব এর সভাপতি হেলাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন আহমেদ। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রাম ও সশস্ত্র লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার ৫১ বছরে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সেই দেশে এখন বিদুৎতে শতভাগ উৎপাদন ও বিতরণ সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্ত কেমন করে এদেশটির স্বাধীনতা অর্জিত হলো তা আগামীর প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই আজকে বিজয় দিবসের আলেচনা সভাার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত একজন সম্মানীত বীর মুক্তিযোদ্ধার নিকট থেকে আজকে আমরা সেই ইতিহাসের অংশ জানব।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক গণপতি রায় তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের আবেগ। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনা। এই আবেগ ও চেতনার স্বপ¦কে বাস্তবায়নে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামীর প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জেনে নিজেদের চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই যে আবেগ ও চেতনাকে ধারন করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে স্বাধীন দেশ আমরা পেয়েছি সেই দেশে সেই চেতনা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন যথাযথভাবে করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. কে. এম. হোসেন আলী হাসান- মুক্তিযুদ্ধ একদিনের অর্জন নয়। এরজন্য দীর্ঘ ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লীর খোকা জন্ম না নিলে এদেশ স্বাধীন হত না। এসময় তিনি পাকিস্তানী শাসনের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাঙালি হিসেবে আমি আজকে এই পোশাকে এই দায়িত্ব পালন করতে পারতাম না। এসময় তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পর্যালোচনা করে বলেন ওসব দেশের মত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কাউকে জোর করে পাঠাতে হয়নি। মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের তাগিদে নিজেদের জন্যই স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করেছেন দেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব এর সভাপতি হেলাল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না নিলে এদেশ স্বাধীন হত না।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবী খান জুয়েল।