তাড়াশ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ৬টি ইট ভাটায় পোড়ানোর জন্য তৈরি করা কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ৬টি ইটভাটার প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাটা মালিকেরা। গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাতের বৃষ্টিতে উপজেলার ভাটাগুলোতে ভাটার খলিয়ানে থাকা অধিকাংশ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে।
ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর এলাকায় ও নওগাঁ ইউনিয়নের খালকুলা এলাকায় ৬টি ইটভাটা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এতে গলে গেছে ইটভাটার খলিয়ানে পোড়ানোর অপেক্ষায় থাকা প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কাঁচা ইট। এ ধরনের প্রতিটি ইট তৈরিতে খরচ পড়ে সাড়ে ৪ থেকে ৬ টাকা। এখন ৬টি ভাটায় বৃষ্টির পানিতে গলে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকার। ইটভাটাগুলোতে কোনো পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় খলিয়ানে রাখা ইট রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আবার কোনো কোনো ইট ভাটায় খামাল করে রাখা ইট পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখায় সেগুলো কিছুটা রক্ষা পেয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ইট নষ্ট হওয়ায় এখন বাড়তি সময়, শ্রমিক ও টাকা গুনতে হবে মালিকদের। নষ্ট ইটগুলো আঙিনা থেকে সরিয়ে পুনরায় পানি দিয়ে নরম করে ইট তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া বৃষ্টিতে আঙিনা নষ্ট হলে কয়েকদিন শ্রমিকদের বসিয়ে রেখেও পারিশ্রমিক দিতে হবে মালিকদের।
শনিবার (১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ভাটারপাড়া, নওগাঁ ইউনিয়নের খালকুলা এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়,খলিয়ানে শুকানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে গিয়েছে। ইটগুলো গলে কাঁদা হয়ে গেছে। কিছু কাঁচা ইট খামাল করে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া চুল্লিতে পোড়ানোর জন্য সাজানো ইটও গলে গেছে।
খালকুলার আব্দুল ব্রিক্সের মালিক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, বৃষ্টিতে আমার ভাটার প্রায় ৫ লাখ টাকার কাচাঁ ইট নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্ত কিছু করার নেই। আবহাওয়া ভাল না হলে আমাদের এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সময় লাগবে। তাড়াশ উপজেলা ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন বলেন,আমার নিজের ইটভাটা আছে। হঠাৎ বৃষ্টিতে খলিয়ানে থাকা কাঁচা ইট পলিথিন দিয়ে ঢাকা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টিতে খলিয়ানে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এসব মাটি খলিয়ান থেকে সরিয়ে আবারও শোধন করে ইট তৈরি করতে বাড়তি টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া উপজেলার ৬টি ইটভাটার প্রায় ৫০ লাখ টাকা কাচাঁ ইট নষ্ট হয়ে গেছে।