সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) যন্ত্র নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ না করায় এমআরআই যন্ত্র বাবদ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোড ঢাকা শাখায় নিরাপত্তা জামানত হিসেবে জমারাখা ১৪ কোটি ২লাখ টাকা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে ফেরত দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বার বার তাগাদা পত্র দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক বিষয়টি অবগত করে গত ১৮.১০ ২০২৩ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (যার নং-১৪৭২৬/২০২৩) করলে গত ১২ ডিসেম্বর-২০২৩ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক কেএম কামরুল কাদের ও খাইজির হায়াত’র বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন এবং একই সাথে আদেশটি পালন ও দ্রুত কার্যকর করতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক(এফআইসিএসডি) সহ প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমআরআই যন্ত্র নির্দিষ্ট সময়ে সরবরাহ না কারায় বিধি অনুযায়ী এমআরআই মেশিন ক্রয় বাবদ ঠিকাদার কর্তৃক ব্যাংকে রাখা নিরাপত্তা জামানত টাকা ছাড় করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগাদা পত্র প্রদান করা হয়। বিষয়টির ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করে চিঠি দেয়ায় কোন সমাধান না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করলে মহামান্য হাইকোর্ট বিষয়টি দেখে টাকা ফেরতের নির্দেশনা দেয়ায় তারা টাকা ফেরত দিয়েছেন এবং শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অ্যাকাউন্টে তা জমা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিয়ম মাফিক টাকা ছাড় না করার কারনে যথা সময়ে এমআরআই মেশিন ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। এর কারনে সাধারন মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে পাশাপাশি সরকারের বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এখন টাকা ফেরত দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে পরবর্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোড ঢাকা শাখা ব্যবস্থাপক বিএম তোহিদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি এই শাখায় আমি যোগদানের আগের। হাসপাতালে এমআরআই মেশিন না থাকায় সাধারন মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। মাহামান্য আদালতের নির্দেশনা পাশাপাশি মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা টাকা ছাড় করে দিয়েছি।