সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে টিকেট বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং সহকারি জুলহক আলীর বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ট্রেনের অভিযোগ বইয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী যাত্রী।
অভিযোগকারী যাত্রী ফৌজিয়া ইসলাম ফাতেমা জানান, বুধবার সকালে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৬টি টিকেট সংগ্রহ করতে টিকেট কাউন্টারে গেলে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে আসন ফাকা নেই বলে জানান বুকিং সহকারী জুলহক আলী। পরে তিনি অতিরিক্ত ৫৫ টাকা বেশি নিয়ে আমাকে ট্রেনের আসন দেন।
তিনি আরও জানান, ভেবেছিলাম এটি শোভন চেয়ারের টিকিট, পরে খেয়াল করে দেখি এটি শোভন সাধারণের টিকিট। টিকিটের গায়ে মূল্য লেখা রয়েছে ১৯৫ টাকা, কিন্তু আমার কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন ২৫০ টাকা। পরে বিষয়টি নিয়ে কাউন্টারে প্রতিবাদ করার পর তিনি আমাকে প্রতি টিকিটে ৫০ টাকা করে ফেরত দেন। এই বিষয়ে ট্রেনের অভ্যন্তরে বিআরটি এর অভিযোগ বইতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের অভিযুক্ত বুকিং সহকারি জুলহক আলী জানান, আমি ভুল করে ওই টিকিট দিয়েছি। আমি ভেবেছিলাম ওইটা শোভন চেয়ারের টিকিট। পরে বিষয়টি লক্ষ্য করে সেই নারী যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিয়েছি। আর তাছাড়া আমি কোন টিকিটের মূল্যের বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নেই না।
জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আবু হান্নান জানান, অভিযোগের ব্যাপারটি পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে জানালে তিনি আগামী রোববার অভিযুক্ত বুকিং সহকারী জুলহক আলীকে পাকশী রেলওয়ে কার্যালয়ে সাক্ষাতের জন্য ডেকেছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন।
এ ব্যাপারে পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের সঙ্গে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।