বেলকুচিসিরাজগঞ্জ

মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে দাফন করা হলো মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. আবু হেনাকে

বেলকুচি প্রতিনিধি : মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তৎকালীন বৃহত্তম ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা, বেলকুচি-কামারখন্দ প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডা. কেবিএম আবু হেনার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ ঢাকার মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে নেওয়া হয়। সেখানে ২য় জানাজা শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে দাফন করা হয়।

গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সোহাগপুর নূতনপাড়া আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথমে রাষ্ট্রীর মর্যাদায় সালাম প্রদর্শন করা হয়। বেলকুচি থানা পুলিশ বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করেন। এ পর মরহুমের কফিনে সালাম প্রদর্শন করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার। পরে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাযা শেষে মরহুম ডা. কে বি এম আবু হেনার মরদেহ ঢাকা নেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় ২য় জানাযা শেষে মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সিরাজগঞ্জে প্রথম জানাযা নামাজের প্রাক্কালে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল মমিন মন্ডল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল, বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সরহাব আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইশাক আলী তালুকদার, বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মাখনসহ গন্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি বার্ধক্যজনিত কারনে ঢাকা বেসরকারি শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি থাকাবস্থায় গত ২৭ মার্চ সোমবার দুপর ১২ টা ৩০ মিনিটে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বৎসর।

ডা. কে. বি. এম. আবু হেনা সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার বেড়াখারুয়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক (সাবেক ওসি) এর দ্বিতীয় পুত্র। তিনি তৎকালীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি কামারখন্দ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৭১ এর ২৫ মার্চের আগে তিনি বঙ্গবন্ধুর বার্তা নিয়ে ভারত সরকারের নিকট পৌছান এব্ং ভারত সরকাররের বার্তা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নিকট পৌছানের গুরুত্বর্পূণ দায়িত্ব পালন করেন।

মরহুমের ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আলমগীর, ১৯৭১ সালে সিরাজগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ৭১ সালের ২৩ মার্চ সিরাজগঞ্জ কলেজ মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশ এর পতাকা উত্তোলন করেন। এবং ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অভিভাদন গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button