রায়গঞ্জ থেকে মো. মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এক সময় ভারীবর্ষন ও বন্যায় খাল, বিল, ফসলের মাঠ, নদী-নালায় দেখা যেদ অসংখ্য ডিঙ্গি নৌকা। কিন্তু গত দুদশকের মধ্যে উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি দেখা দিলেও সে দৃশ্য দেখা যায়নি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বর্ষাকালে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কথা। খাল, বিল, মাঠঘাট পানিতে থৈ থৈ করার কথা। অথচ এ বছর মিলছে না বৃষ্টি। রায়গঞ্জের অধিকাংশ এলাকায় নেই পর্যাপ্ত পানিও। তাই বাধ্য হয়ে ডিঙ্গি নৌকাগুলো ভ্যানগাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নৌকার মিস্ত্রির নিকট। সংস্কার করে রেখে দেওয়া হবে আগামী বছরের জন্য।
এদিকে উপজেলার হাটপাঙ্গাসী এলাকার কয়েকজন প্রবীণ ব্যাক্তি জানান, এক সময় বর্ষা মৌসুম আসলেই বাড়ি বাড়ি নৌকা তৈরির জন্য ধূম পড়ে যেত। সেই নৌকা দিয়ে পারাপার হত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। সকাল বিকেল হাটবাজারে মানুষ পারাপার করেও জীবিকা নির্বাহ করত অনেকেই। তাছাড়া নদীতেও মিলতো নানা প্রজাতির মাছও। হাসি-খুশিতেও পরিবার-পরিজন নিয়ে সচ্ছলভাবেই দিন কাটাতো নদী-তীরবর্তী জেলেরা।
এখন জেলেদের মুখে সে হাসি নেই। এদিকে উপজেলার হাটপাঙ্গাসী হাওয়ালদার পাড়া গ্রামের বেশ কয়েকজন জেলে পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০/২২ বছর আগে নদ-নদীর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার ফসলের খালি মাঠ থেকে প্রচুর মাছ ধরা যেত। সেই মাছ পরিবারের জন্য রেখে দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রিও করা হত।
কিন্তু বিগত ২০/২২ বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা না হওয়ার কারনে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ডিঙ্গি নৌকাগুলো হেফাজত স্থানে রাখার জন্য ভ্যানগাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গন্তব্যস্থলে।
প্রতি বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি ও বন্যা হলে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে মেতে থাকবেন জেলেরা, আগের মতোই চলবে ডিঙ্গি নৌকা গুলো। এমনটিই মনে করছেন উপজেলার সচেতন মানুষ।