রায়গঞ্জ থেকে মো. মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান: রায়গঞ্জসহ জেলার সর্বত্র বেড়েই চলেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে, চিনি, ছোলা,সয়াবিন তেল, সরিষার তেল, খেজুর, মাছ, মাংস সহ সকল ধরসের মসলার দামও এখন বাড়তির দিকে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন রায়গঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। যে জিনিসগুলোর দাম একবার বাড়ছে তা কমার আর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যার কারণে মানুষ সংসার চালাতে গিয়ে চরমভাবে হিমশিমের মধ্যে পড়েছে।
দূব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে গ্রাম থেকে সংসার চালাতে না পেরে কাজের সন্ধানে পরিবার -পরিজন নিয়ে শহরমুখী হয়েও কাজের কোনো সন্ধানও খুঁজে পাচ্ছে না কেউ কেউ।
গতকাল বিভিন্ন বাজার ও এলাকা ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চিনির দাম বেড়ে এখন ৬০ টাকা। খুচরা বাজারে এখন ১২০ টাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে। ভাল মানের জিরা ৩০০ টাকার পরিবর্তে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। এভাবেই দফায় দফায় বাড়ছে আটা-ময়দাসহ প্রায় সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। ভোগ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার অসহায় মানুষগুলো। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে দেখা যাচ্ছে না আগের মত লোকসমাগম। এদিকে অন্যান্য পণ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চায়ের দামও। ফলে আগের মত আর অনেকেই চায়ের দোকানে কিংবা হোটেলে সময় দিচ্ছে না বাড়তি খরচের ভয়েও। হাট-বাজারে আগের মত ক্রেতা ও লোকসমাগম হচ্ছে না। বেচা-কেনা খুবই কম। ফলে রুজি-রোজগার না থাকায় আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে জানান উপজেলার বেশ কয়েকজন চা-বিক্রেতাও। এমতাবস্থায় রমজানে সকল ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখার ও প্রতিটি পণ্যের দাম নির্ধারিত করে দিয়ে বাজার মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করার জন্য উপজেলা প্রসাশন তথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃস্টি কামনা করেছেন উপজেলার নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো।