সিরাজগঞ্জে কাজিপুরে এবার মৌসুমী রোপা আমন ধান চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। ইতিমধ্যেই মাঠে মাঠে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা জানা যায়, কাজিপুর উপজেলাতে ১১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে কৃষকেরা তাদের জমিতে এ রোপা আমন ধানের চারা রোপণ শুরু করে। ইতিমধ্যেই এ লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ ভাগ জমিতে ধান রোপন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ ধানের চারা রোপনের কাজ শেষ হবে।
তবে এ উপজেলার শষ্যভান্ডার খ্যাত নাটুয়াপাড়া, মনসুর নগর, সোমামুখী ও চালিতাডাঙ্গায় ধান চাষাবাদে বেশি ঝুকছে কৃষকেরা। এ উপজেলার প্রায় সব ফসলের মাঠ সবুজের সমারোহ ছেয়ে গেছে। ধান ক্ষেত পরিচর্যার কাজে এখন ব্যস্ত কৃষক। অনেক স্থানে এখনও রোপা আমন ধানের চারাও রোপণ করছে কৃষকেরা।
উপজেলার কৃষকেরা বলছেন, এ চাষাবাদ শুরু থেকেই দফায় দফায় বর্ষণে জমিতে চারা রোপণে কিছুটা উপকৃত হয়েছি। তবে সেচ, সার, ধানের চারা ও শ্রমিক খরচসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হলেও এ চাষাবাদে ঝুকছে কৃষকেরা।
চালিতাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুস শহীদ বলেন,প্রতি বছরে অতি বৃষ্টির কারণে আমার জমি তলিয়ে যায়। বৃষ্টি কম হাওয়ায় এবার চার বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছে। ইতিমধ্যে চারাগুলো বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। রোগবালাই ও আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছি।
নাটুয়ারপাড়ার কৃষক রুহুল আমিন জানান, আমাদের চরাঞ্চলে প্রতিবছরেই পানিতে ডুবে যায় ফসলি জমি। বন্যা কম হাওয়ায় ৬’বিঘা জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ক্ষেতের পরিচর্যা করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা । এ উৎপাদিত ধানের বাজার মূল্য ভালো থাকলে লাভবান হবে কৃষকরা।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, মৌসূমি রোপা আমন ধান চাষাবাদে কৃষকদের নানারকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার ১ হাজার ১৫০ জন কৃষকদের মাঝে ধানের চারা ও সার প্রদান করা হয়েছে। পরামর্শের পাশাপাশি উপজেলা কৃষি অফিস সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে এ পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে এ চাষাবাদে কৃষকের তুলনা মূলকভাবে খরচ কম। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।