সিরাজগঞ্জে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবুর রহমান। দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, অধূমপায়ী মারা যায় ১২ লাখ, যারা ধূমপান করেনা; কিন্তু অন্যের প্রকাশ্যে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবে একই পরিণতি বরণ করছে। ধূমপানের কারণে কেবল শারীরিক ক্ষতি নয়- অর্থনীতি, পরিবার, সমাজ এবং পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, তথ্য অনুসারে প্রতিবছর ধূমপান জনিত ক্যান্সারে ৮০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। তিনি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণ হিসেবে পারিবারিক উদাসিনতা, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব, অসৎ সঙ্গ, অবক্ষয়, অসচেতনতা, হতাশা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা, আইন না জানা, আইনের যথাযথ প্রয়োগের অভাব, তামাক চাষে নিয়ন্ত্রণ না থাকা ইত্যাদি বিষয়কে দায়ী করেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, এ অবস্থা থেকে উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও কর্মতৎপরতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান টিম ম্যাজিস্ট্রেগণ তারা প্রতিনিয়ত কাজ করবে। এ বিষয়ে প্রতিটি সেক্টর থেকে কাজ করতে হবে।
গত শনিবার, ১৭ জুন, সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ কে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ( জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল) এর ব্যবস্থাপনায় ও জেলা প্রশাসন সিরাজগঞ্জের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এডিএম মো. তমাল হোসেন এবং কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ভয়াবহতা ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহাবুবুর রহমান।
এসময়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ হান্নান মিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি, প্রমূখ, এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ রাশেদ হোসাইন, ইসরাত জাহান, শিমুল আক্তার,প্রমূখ, পাওয়ার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুইচিং মারমা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ।