স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে দোরগোড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চা স্টল থেকে শুরু করে রাজনীতির অন্দর মহলে চলছে জোর আলোচনা। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজেদের প্রতি জনসমর্থন ও দলীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যানার, ফেস্টুন, পোষ্টার লাগানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে জনসংযোগ করছেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজরিত গোচারনভূমি খ্যাত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করে জনসমর্থন আদায় ও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম। যমুনা নদীর তীর ঘেষা বৃহৎ ইউনিয়ন কৈজুরির দুই মেয়াদের সফল এই চেয়ারম্যানের ব্যানার-ফেস্টুন ও পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সারা উপজেলা। উপজেলাবাসির সেবা করার ব্রত নিয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিয়ে কাজ করছেন তিনি। মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম দাবী করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের বড় অংশের সমর্থন ও ভোটারদের বিপুল সমর্থন রয়েছে তার প্রতি।
জানা যায়, জেলার শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত হাজী মোশাররফ হোসেনের সন্তান মো.সাইফুল ইসলাম। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ পাশ করার পর প্রয়াত পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে অংশগ্রহন করেন কৈজুরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। টানা দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালণ করেন সাবেক এই জনপ্রতিনিধি। সাইফুল ইসলাম শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও যুগ্ন-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেণ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম শাহজাদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। এছাড়াও কৈজুরি ফাজিল মাদ্রাসা ম্যানজিং কমিটির সভাপতি, পূর্ব কৈজুরি মোশারফিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা ম্যানজিং কমিটির সভাপতি, পূর্ব কৈজুরি কলেজ জামে মসজিদ, কৈজুরি স্কুল এন্ড কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও পূর্ব কৈজুরি হাজি রিজিয়া বেগম মহিলা মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালণ করছেন সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলামের সহধর্মীনি রোকসানা ইসলামও ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পাবনা মহিলা কলেজ শাখার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালণ করা এই নারী বর্তমানে কৈজুরি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকার পদে রয়েছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে এক কন্যা ও এক পূত্রের জনক সাইফুল-রোকসানা দম্পত্তি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি ও পারিবারিকভাবে জনসেবার শিক্ষা পেয়েছি। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি বা ব্যাবসা বানিজ্যের দিকে ধাবিত না হয়ে জনসেবায় কাজ করছি। দুই মেয়াদে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকায় উপজেলাজুড়ে নানাভাবে কাজ করেছি। জনপ্রিতিনিধি ও রাজনীতিবিদ হিসেবে যে অভিঙ্গতা অর্জন করেছি তা মানবকল্যানে কাজে লাগাতে চাই। সেই লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনসংযোগ করছি, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চাচ্ছি। আমি মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
সাবেক এই জনপ্রতিনিধি আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজরিত শাহজাদপুর গো-খামার, নৌ-বন্দর, তাতশিল্পের জন্য সমৃদ্ধ। নদীভাঙ্গনসহ যোগাযোগব্যাবস্থার কিছু সমস্যা রয়েছে। তিনি জানান অতিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, জননেতা চয়ন ইসলামের দিকনির্দেশনায় এই উপজেলাটির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবেন।