স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে বড়াল নদীতে বরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মযহারুল ইসলামের স্মৃতি স্মরণে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ফাইনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকো কোষা ও পানসি নৌকার বাইচ আর বাইছালদের দেশত্ববোধক গানে মুখরিত হয়ে ওঠে বড়াল নদীর বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দর অংশ। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার নির্মল আনন্দ উপভোগ বা পছন্দের নৌকার বিজয়ে অংশীদার হতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন নানা বয়সী নারী-পুরুষসহ হাজার হাজার মানুষ।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরসহ আশ-পাশের জেলা-উপজেলার মানুষকে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চিত্র-বিনোদনের সুযোগ করে দিতে পেরে আনন্দিত আয়োজকেরাও। ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার স্থান বড়াল নদীর বাঘাবাড়ী বন্দর অংশ সেজে উঠেছিল রঙ্গিন সাজে। বাংলার বাঘ, করম আলী এক্সপ্রেস, নাসির এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, মায়ের দোয়া এক্সপ্রেস বাটুল এক্সপ্রেস, উড়ন্ত বলাকাসহ বাহারি নামের নৌকা ছুটে চলেছে নদীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। সাথে সাথে ছুটছে যাত্রীবাহি শত শত ইঞ্চিনচালিত নৌকা। আর নৌকায় থাকা দর্শকের করতালি। বাইছালদের বৈঠার আওয়াজ হৈ হৈ ধ্বনিতে মুখরিত আর দেশাত্ববোধক গানে উৎসবের আমেজ ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে।
ঐতিহ্যবাহি নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ডক্টর সাজ্জাদ হায়দার লিটন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ, ড. মযহারুল ইসলাম স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজক কমিটির সভাপতি শাহজাহান সিরাজ সহ প্রমুখ।
চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় কোষা ও পানসি তিন বিভাগে বিজয়ী নৌকা ও বাইছালদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে মোটরসাইকেল, ফ্রিজ ও টেলিভিশন। একই সাথে অংশ গ্রহনকারী সকল নৌকাকে পুরস্কার দেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জসহ পাবনা ও নাটোর জেলা থেকে আসা দর্শকের দাবি প্রতিবছরেই আয়োজন করা হোক গ্রাম-বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহি এই আয়োজন।