সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের শক্তিপুর গ্রামের মৃত মুক্তা শেখের মেয়ে মুক্তি খাতুন (২২) এর সঙ্গে একই উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের জেলহক প্রামাণিকের ছেলে মনিরুল হকের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুক্তির। বিয়ের পরও দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। তাদের প্রেমের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী মনিরুল। এবাধা পরিস্কার করতে মুক্তি তুহিনকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী মনিরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৯ সালের ৩ জুন রাতে মুক্তি তার স্বামী মনিরুলকে নিয়ে দাদার বাড়ি শক্তিপুরে যান। সেখানে গিয়ে রাতে মনিরুলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পারিয়ে রাখেন। রাত ১২টার দিকে তুহিন এলে দুজনে মিলে মনিরুলকে গলাটিপে হত্যা করেন। মামলার সূত্রে এরকমই তথ্য নিশ্চিত করেন আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার মো. রাশেদুল ইসলাম।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত মুক্তি খাতুন (২২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিনকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেন।
মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।