স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার দল পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান অরুণ এর ৮তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে মৃত্যু বার্ষিকী তে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ভবনে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সিইনসি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সিরাজগঞ্জ ইউনিটের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী সরকার।
সিরাজগঞ্জ অরুণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস। সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সভাপতি উদয় কুমার পাল, গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম, অরুণ ফাউন্ডেশন সিরাজগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক মঞ্জরুল আলম রুবেল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান অরুণ ছিলেন, দেশ ও জনগণের অতন্ত্র প্রহরী। পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ওস্তাদ লুৎফর রহমান অরুন এর ৮ তম প্রয়াণ দিবসে তাকে নিয়ে কিছু বলার মত সাহস আমাদের নেই। তিনি একজন সৎ আদর্শিক বীর মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন। সকলের সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন এবং তার আচরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মানুষ মুগ্ধ ছিলেন। এর জন্যই তিনি আপামর জনসাধারণের কাছে ওস্তাদ নামে খেতাব লাভ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান অরুণের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। পেশাগতভাবে চাকরি করতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের মার্চে দেশজুড়ে চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে অসহযোগ আন্দোলন। এসময় লুৎফর রহমান ছুটিতে আসেন সিরাজগঞ্জে তার বোনের সঙ্গে দেখা করতে। সে সময় পরিচিত হন সিরাজগঞ্জের তৎকালিন ছাত্রনেতাদের সঙ্গে। যুক্ত হয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। পলাশডাঙ্গা যুব শিবির গঠনের পর তিনি এই বাহিনীর ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব নেন। হয়ে ওঠেন সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের অপরিহার্য চরিত্র।
প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী জগলু। এর আগে বীরমুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন রাণীগ্রাম জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. জাহাঙ্গীর আলম।