সদরসিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি দ্রুত বাড়ছে। ইতোমধ্যে নদীর হার্ড পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে পৌঁছেছে।

গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ পাউবোর পানি পরিমাপক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দিনের সকালে যমুনা নদী সিরাজগঞ্জের হার্ড পয়েন্টে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার উপরে ১২ দশমিক ৯১ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই পয়েন্টে পানি প্রায় ৪৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ১৪ দশমিক ৬০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুর পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ সেন্টিমিটার।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর প্রকৌশলী সুত্রে জানা যায়,  উজানের পানির ঢলে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে জেলার  ৫ উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকার কিছু কিছু বসতি নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনার পানি বিপদসীমার উপরে ওঠায় তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল ও নদীপাড়ের চর এলাকাগুলো। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের প্রায় ২৫ ইউনিয়নের মানুষ।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন  কক্ষে  জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

জেলা দুর্যোগ ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্যোগ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও উপ-সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইমরান হোসেন, সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, চেম্বার প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সুর্য,  অ্যাড. বিমল কুমার দাস  প্রমুখ।

সভায় জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন,  সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব। তিনি বলেন,  মানুষের নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম,  স্বেচ্ছাসেবক টিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিমপ্রস্তুত রাখা রয়েছে।  সরকারের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি সরকারের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button