চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তিনদিনের ব্যবধানে ডাবল সেঞ্চুরি পার করে দাঁড়িয়েছে ২২০শত টাকায়। দাম বেড়েছে মরিচেরও। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। দুই দিন আগেও পিঁয়াজের কেজি ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। আর কাঁচা মরিচ ছিল ৬০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে পিঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহ কম এবং উৎপাদন নষ্ট হওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার সদর জোতপাড়া বাজার ও হাসপাতাল মোড় বাজার ও কেআর পাইলট মডেল সরকারি স্কুল মোড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পিঁয়াজ কোথাও ২২০ কোথাও ২১৫ টাকা। আবার কোথাও ২২৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা আবার কোথাও ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। গত দুই দিন আগেও এ উপজেলার হাট-বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা মরিচের দাম ছিলো ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
বাজার করতে আসা খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি জোতপাড়া বাজার থেকে ১ কেজি পিঁয়াজ কিনলাম ২২০ টাকা দিয়ে। হাট-বাজারে পিঁয়াজ ও কাচা মরিচ যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় মাত্রাতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন। যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে পিঁয়াজ ও কাচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন কাঁচামরিচ ও পিঁয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে। সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার পরিস্থিতি এমনটা হলে গরিব মানুষ কীভাবে চলবে ?
জোতপাড়া বাজারের পিঁয়াজের ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ও মো. ইয়াকুব বলেন,‘হাট-বাজারে বিদেশি পিঁয়াজের যোগান কমের কারণে দাম বেড়েছে। যোগান বাড়লে দাম কমে যাবে। আমরা যেখান থেকে পিঁয়াজ কিনে থাকি, বর্তমানে সেখানেই দাম বেশি। যার জন্য বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। উৎপাদন বাড়লে দাম কমে যাবে।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান বলেন, ব্যবসায়ীরা বাজারে পিঁয়াজ ও কাচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে।