উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: উল্লাপাড়ায় পৃথক ঘটনায় উপজেলার নবগ্রামে পুলিশ সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও এ্যালংজানী গোনাগাতী গ্রামের আমিরুল ইসলামকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। উল্লাপাড়ার নবগ্রামের নিজ বাড়ির ঘর থেকে ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, গত রোববার রাতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত পুলিশ কনস্টেবল মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮) মৃত জেফাদ আলীর ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী ও ছেলে মেয়েরা বাড়িতে না থাকায় তিনি একাই ছিলেন বাড়িতে। তার উচ্চ শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা বাইওে থাকে. তাদের কেউ কেউ বিদেশে থাকেন। স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে তাকে বিছানার ওপর মৃত পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, ‘ভিকটিমের চাকরিও প্রায় শেষের দিকে। গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুনের রহস্য উন্মোচনে পুলিশ কাজ করছে।
পিবিআই পুলিশের এসপি রেজাউল করিম জানান, ‘ঘটনার রাতে তিনি একাই ছিলেন। তাকে হত্যা নিশ্চিত করেই দুর্বৃত্তরা পালিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পূর্ব শত্রুতা নাকি পারিবারিক দ্বন্দ্ব তা তদন্ত করা হচ্ছে।থ
অপরদিকে উল্লাপাড়ায় ধানের জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো. আমিরুল ইসলামকে দেশি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করা হয়। এঘটনায় সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কৃষক আমিরুল ইসলাম।
গত রোববার রাতে উল্লাপাড়া উপজেলার এ্যালংজানী গোনাইগাঁতী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় মো. আমিরুল ইসলাম(৫০)কে চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হ।ে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের আব্দুল হাই তার লোকজন নিয়ে আমিরুলকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে। এবং তার দুই ভাতিজাও আহত হয়।
নিহত আমিরুলের ভাই নজরুল ইসলামের অভিযোগে জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে আমিরুলের সঙ্গে জমিতে সেচ দেওয়া নিয়ে আব্দুল হাইয়ের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে তাদের চাচাতো ভাই আব্দুল হাই রবিবার রাতে তার লোকজন নিয়ে আমিরুলের বাড়িতে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। এই ঘটনার পর আব্দুল হাই ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলেও জানান নজরুল।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবং সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।