আনিছুর রহমান : আর মাত্র কয়েক দিন পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সলঙ্গা থানার ৬টি ইউনিয়নে মোট ৩২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঘুড়কা ইউনিয়নে ১৭টি, ধুবিল ইউনিয়নে ৪টি, নলকা ইউনিয়নে ৪টি,সলঙ্গা ইউনিয়নে ৩টি,হাটিকুমরুল ইউনিয়নে ৩টি এবং রামকৃষ্ঞপুর ইউনিয়নে ১ টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা বসানোর কাজসহ রং তুলির আঁচড়ে দেবী মূর্তি ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে। মন্ডপ কমিটির সদস্যরা জানান, আলোকসজ্জা,প্যান্ডেল ঠিক করা,ঢাকি,পুরোহিত ঠিক করা, মণ্ডপ সাজ সজ্জা আর পূজার সরঞ্জাম ক্রয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাঁরা।কিছু কিছু পূজা মন্ডপে দেবীর বন্দনার পাশাপাশি ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজন করা হবে। আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
সলঙ্গা থানা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক গজেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, প্রতিটি মন্দির থেকে শুরু করে সর্বত্র সাজ সাজ রব থাকবে। আয়োজন করা হবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। প্রতি বছরের মতো এবারেও সলঙ্গায় মন্দিরে মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগত ঘটবে বলে আশা করছি। সলঙ্গা থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ভবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে সলঙ্গা থানার সকল মন্দিরে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি। এ বছর সলঙ্গায় মোট ৩২ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমি আশা করব প্রতি বছরের মতো এ বছরও পূজা উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন। এ ছাড়াও প্রতিটা পুজা মন্ডপের নিরাপত্তায় নিজস্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীও প্রস্তত করা হয়েছে। সলঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) এনামুল হক বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে পুলিশের পাশাপাশি আনসার,গ্রাম পুলিশ ও মন্দির কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। ইতিমধ্যেই আমরা সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুর্গাপুজাকে শান্তিপুর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সবার সহযোগীতাও কামনা করছি।