কে.এম. মঞ্জুর মোরশেদ টুটুল : দেশে ৯৮৮৬ টি পোস্ট অফিস রয়েছে। বর্তমানে পোস্ট অফিসগুলো হতে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। একসময় পোস্ট অফিস ছিল জনগনের মনের ভাব ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদানের একমাত্র মাধ্যম। অর্থের লেনদেনতো ছিল পোস্ট অফিসে। কালের গর্ভে আজ পোস্ট অফিস তার অস্থিত্ব হারিয়ে ফেলেছে। সরকারের উদাসীনতা, ব্যাপক হারে মুঠো ফোন ব্যবহার ও কুরিয়ার সার্ভিসের কারনে। গ্রাম পর্যায়ের যে সব শাখা অফিস রয়েছে সেই কর্মচারীরা মাত্র ৪৪৬০ টাকা মাসিক বেতন পান যা উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে হাস্যকর ব্যাপার।
এক সময় পোস্ট অফিসই ছিল থানা পর্যায়ের অফিসগুলোর মাধ্যমনি। যার জন্যে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারি তথা জনগণ পোস্ট মাস্টার সাহেবকে চিনত, তাকে সম্মান করত, তাকে মানত কোথায় উনার গ্রাম, নামই বা কি? তেমনি একজন থানা পর্যায়ের পোষ্টমাষ্টার সাহেবের সম্মান এবং বীরত্ব তা নিয়েই আলোচনা। পূর্ব পাকিস্থানের স্বায়ত্ব শাসন প্রশ্নে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের ১৬৯টি আসনের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ ১৬৭টি ০১টি স্বতন্ত্র অন্যটি ঘাতক ইয়াহিয়া খানের সংগঠন মুসলিমলীগ আসন পায়। আওয়ামীলীগ নিরুস্কুনুশ আসন পেলেও আওয়ামীলীগ তথা শেখ মুজিবর রহমানকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে ইয়াহিয়া খান টাল বাহানা শুরু করে। আলোচনার নামে ৭মার্চ ঢাকায় এসে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান হতে সৈন্য এবং অস্ত্র এনে, আলোচনা ভেঙ্গে দিয়ে পাকিস্তানী সৈন্যদের নিরীহ নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের নিচিহ্ন করার’ আদেশ দেয়। ফলে ২৫ মার্চ শুরু করে প্রথমে পিলখানা, রাজারবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল সহ বিভিন্ন জায়গায় হাজার হাজার ইপিআর সদস্য, পুলিশ বাহিনী ছাত্রদের হত্যার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে ২৭ মার্চ গোপনে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ। যুদ্ধের ঢেউ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল। তার প্রভাব কামার খন্দ থানাতে এসে লাগল। অত্র থানার দামাল ছেলেরা সংগঠিক হয়ে দলে দলে ভারতে গিয়ে স্বাশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করল। কেউবা প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল লথিফ মির্জার নেতৃত্বে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরে যোগদিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ট্রেনিং নিয়ে পাকিস্থানী সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্রহাতে যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়ে সম্মুখ যুদ্ধে। এমনি সময় বৈদ্য জামতৈলের পোস্ট মাস্টারের দায়িত্ব পালন করছিলেন মোঃ মিজানুর রহমান খান। পোস্ট মাস্টার সাহেবকে কামারখন্দবাসী তথা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী চিনত। কারণ পোস্ট অফিসই ছিল যোগাযোগ এর ক্ষেত্রে মনের ভাব আদান প্রদানের একমাত্র মাধ্যম। প্রিয়জনদের নিকট টাকা পয়সা মানি অর্ডার হত একমাত্র পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। আর এই সুযোগ পালন করলেন অক্ষরে অক্ষরে। পেছর পাড়ার ছোট্ট একটি গ্রাম এর বাসিন্দা পোস্ট মাস্টার মিজানুর রমহান খান। এই ছোট্ট গ্রামে দুই জন বীর মুক্তি যোদ্ধা রহিজ উদ্দিন তালুকদার ও দেলোয়ার হোসেন। রহিজ উদ্দিন তালুকদারের ভাই মেনহাজকে ধরে নিয়ে গেল থানাতে। মুক্তি যোদ্ধার ভাই হিসাবে তাকে হত্যা করার উপর হইতে নির্দেশ এলো গুলিকরে হত্যা করার এখানেই পোস্টমাস্টারের বীরত্ব এবং সম্মান। তৎসময়ের দারোগা সিরাজুল ইসলামের সাথেও ছিল গভীর সম্পর্ক, পোস্ট অফিসে বসে জানতে পারলেন তার নিজ গ্রামের ছোট ভাই মেনহাজকে ধরে নিয়েছে থানাতে। গুলিরও অর্ডার হয়েছে। মেনহাজের বাবা মার কানেও পৌছে গেল খবর। তার বাব মা শুনে তো উম্মাদের মত অবস্থা দ্রুত চলে আসলেন পোস্ট মাস্টার সাহেবের বাড়িতে, হাতে টাকার থলে। (………………. কান্নাকাটি করতে করতে টাকার থলে রেখে চিৎকার করছে, আর জীবিত ফেরত আনার তাগাদ দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কান্নাকাটি সহ্য করতে পারলেন না নরমদেলের কটিন হৃদয়ে প্রতিজ্ঞা যে করেই হোক বাঁচাবে মেনহাজকে। প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে নে হলেও। সারারাত আর ঘুম হলনা। তৎসময়ের স্টার সিগারেট এককের পর এক আগুনে ধরিয় ধূমপান করছেন, আর ভাবছে নিজের জীবন শেষ হলেও মেনহাজকে বাঁচাতে হবে। একে একে তিন প্যাকেট সিগারেট শেষ। রাত ভোর হল। মেনহাজের মা-বাবার কান্নাকাটি আর তাগাদা যে করেই হোক মেনহাজকে বাঁচানোর। অবশেষে নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ছেলে মেয়ে স্ত্রীসহ ভাই ভাতিজাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। আজকেই আমার শেষ বিদায় বলে চোখের জল মুছতে মুছতে মৃত্যুকে সঙ্গিকরে মেঠো পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলেন কামারখন্দ থানায়। কর্তব্যরত দারোগাকে দৃঢ়চিত্তে প্রশ্ন কেন ধরে নিয়ে এসেছ মেনহাজকে? সে তো মুক্তিযোদ্ধা না। সে একজন নিরীহ সাধনার ওষুধ বিক্রেতা। আমাদের গ্রামে কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই। অস্বীকার করলেন দারোগা সিরাজ সাহেব জানেন দেলোয়ার এবং রহিজ নামে দুইজন মুক্তিযোদ্ধ আছে। পোস্ট মাস্টার সাহেব নাছোড় বান্দা কেন, কোন অপরাধে তাকে ধরে এনে মেরে ফেলতে চাও আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করার আগে আমাকে আগে হত্যা করো, চালাও তোমার বন্দুক, মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বলছে। দেশ প্রেমিক বাঙ্গালী দারোদা পারলেননা। মেনহাজকে হত্যা – করতে পরে নির্দেশ পালনে দারোগা বন্দুকের ফায়ার দেখিয়ে ছেড়ে দিল মেনহাজকে। ছিল কি তখনকার সময়ে এমন দৃঢ়চিত্তের ব্যক্তি। চরটেংরাইলের জনগণ গরীব ঘরের মা-বাবার একমাত্র আদরেরধন আদলকে ধরে দিলু থানাতে। বিষয়টি পোস্টমাস্টার মিজানুর রহমানের কর্ণ গোচর হতে দেরিহলনা। অফিসের পাশ্বের বাসায় তীব্র চিৎকার করছে। একমাত্র ছেলেকে থানা হতে ছাড়িয়ে আনার জন্য। তৎসময়ের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি পোস্ট অফিস হতে ফোন করল থানার দারোগাকে বলছে এ ছেলে সহজ সরল না তাকে ছাড়া যাবে না। হঠাৎকরেই অফিসের কাজে পোস্ট অফিসে এসে শুনতে পেল তীব্র কান্নার শব্দ। ও মাগো ও বাবাগো আমার ছেলেকে এনে দাও। দারোগা সিরাজুল ইসলাম সাহেব এসে কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলেন উত্তরের বললেন এ ছেলে সহজ সরল না তাকে ছাড়া যাবেনা বলেই বোঁঝালেন একমাত্র ইয়াতিম ছেলে বাবা আমাদের বাড়িতে দিনমুজুরীর কাজ করত ইত্যাদি ইত্যাদি বলেই গর্জন করে উঠলো। আদলকে বন্দীত্ব দশা হতে ছেড়ে দাও। কেন এসব ছেলেদের ধরে তোমরা তোমাদের পাকিস্তানকে রক্ষার বৃথা চেষ্টা করছ। আদল ছাড়া পেল চরটেংরাইল গ্রামবাসী তথা তার পরিবারও জানতে পেলনা কিভাবে দুঃসাহসী, দুঃচরিত্র ছেলেটা থানা হতে ছাড়া পেল। ৭১ সালের যুদ্ধ অবস্থায় কিভাবে অক্ষত অবস্থায় থানা হতে ছাড়া পায় ভেবে দেখবেন কি পাঠক?
চালা গ্রামের মাহমুদুর রহমান রাজী তুখোড় আওয়ামীলীগ নেতা হিসাবে কামারখন্দে পরিচিত। দেশে তখন পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী রাজাকার আলবদর, আল সামসের সহযোগিতায় একের পর এক নির্বিচারে শান্তি কামী জনগনের উপর আফ্রিকার বন্য কুকুরের মত জ্যান্ত মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যা করছে। এমনি বিভৎসব দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে প্রায়ত সংসদ সদস্য আব্দুল লথিফ মির্জার নেতৃত্বে পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরে যোগ দিয়ে বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যুদ্ধ করছে। তখন হঠাৎ করেই বড়ধূল গ্রাম হতে আসার পথে ময়নাকুল প্রাইমারী স্কুলের নিকট হতে রাজাকারদের হাতে ধরা পড়লেন মাহমুদুর রহমান। রাজীকে ধরেই রাজাকারের দল মহাখুশিতে থানাতে নিয়ে আসল। রাজীকে শাস্তি দিবে, বিচার করবে বলে। সঙ্গে সঙ্গে থানা হতে দারোগা সাহেব ফোন করছে রাজীকে ধরে আনা হয়েছে। শুনেই পোস্ট মাস্টার সাহেব বাঘের মত গর্জন করে বলে উঠল স্কলার ছেলেদের ধরে ধরে হত্যা করে তোমাদের পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষা কর। দারোগা সাহেব রাগনা করে হাসছে, আর জবাব দিচ্ছে তোমার নিকট এরকমই উত্তর পাব আশা করেছিলাম। যুদ্ধ কালীন সময়ের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধকে থানাতে ধনে এনে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করবে তার নিকট হতে গোপনীয় তথ্য আদায় করবে, না কোনটাই পারলনা। শুনেই পোস্টমাস্টার সাহেবের অবস্থা খারাপ অবস্থা খারাপ হলেও ভাবছে রাজীকে কিভাবে বাঁচানো যায়। দারোগা সাহেবকে অনুনয় বিনুনয় করছে রাজীকে বাঁচানোর কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায়। ঐদিকে রাজীকে থানায় ধরে নেয়ার খবর টেলিগ্রাফের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে পোস্ট মাস্টার সাহেব রাজীর বাবাকে। রাজশাহীতে ক্স সরকারী চাকরী হতে দ্রুত চলে এসেই মিজানুর রহমানের পায়ে পড়ে হাউ মাউ করে কাঁদছে রাজীকে বাঁচানোর তাগিদে। রাজীর বাবা মোয়াজ্জেম সরকারকে অভয়দিয়ে পোস্টমাস্টার সাহেব বলছে রাজীকে কেউ হত্যা করতে পারবেনা। প্রয়োজনে নিজের জীবন বিলিয়ে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। থানাতে গেলেন ভয়ে ভয়ে যুদ্ধকালীন অবস্থায় কি ভাবে একজন দেশ প্রেমিক মুক্তি যোদ্ধার জন্য বাঁচার সুপারিশ করা যায়। হানাদার বাহিনীর দৃষ্টিতে সে তো একজন অপরাধী। না মনের ভয় নিয়েই দারোগা সাহেবের সাথে দেখা করে রাজীকে বাঁচানোর পরামর্শ করে থানাতে বসেই। শেষে আদালতের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করলেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেচে আসলেন রাজী। যখন নির্বিচারে নিরহ জনগনকে একে একে হত্যা করছে মা বোনের উপর নির্যাতন করে গ্রামকে গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করছে। এমনি মুহুর্তে রাজী বেঁচে গেলেন ভাবা কি যায় তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষাপটে? পাক হানাদার বাহিনীর সন্দেহ হলে অথবা গ্রামে মুক্তি যোদ্ধা থাকলে সেই গ্রাম গুলোতে আগুন দিয়ে ছাড়খার করছে। অথচ কামারখন্দ থানার পেছরপাড়া ছোট একটি গ্রামে দু’জন মুক্তি যোদ্ধ থাকার পরও আগুনে পুড়তে পারেনি, থানাতে আগুনে পোড়াবে যে সমস্ত গ্রাম তার তালিকাতেও ছিল পেছরপাড়া গ্রাম। দারোগা সাহেব আগুনে পোড়াবে পেছরপাড়া গ্রাম জানালে দৃঢ় উত্তর আমার গ্রাম পোড়ার আগে আমার বাড়িতে আগুন দিতে হবে। না শত আগুনে পোড়া গ্রামের মধ্যে বেঁচে গেল। সুন্দর সাজানো ছোট্টগ্রাম খানি মেনহাজ, আদল ও রাজীকে মৃত্যুর হাত হতে রক্ষা করেই ক্ষান্ত হয়নি শ্যামপুরের আমজাদ হোসেন সমাজসেবা অফিসারসহ তামাই বেলকুচি পোস্ট অফিস শাখার পোস্ট মাস্টার দেলোয়ার হোসেন কে মুক্তিযোদ্ধা মনে করে রাজাকার কমান্ডার আব্দুস সামাদ ধরে এনে কামারখন্দ থানাতে নিয়ে যাচ্ছিল ইতিমধ্যে পোস্টমাস্টার মিজানুর রহমান জেনে গেলে তখন তাকে উদ্ধার করলেন রাজকারদের কবল হতে এমনইভাবে অনেকেরই সেদিন জীবন রক্ষা করেছেন। যা আজ স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে পারছেন না সিরাজগঞ্জ জেলার মুসলিম হাই স্কুল হতে ১৯৫২ সালের ম্যাট্রিকুলেশন পাশকরা ব্যক্তিটি। ভাষাআন্দোলনের সময় সিরাজগঞ্জের ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সাগীর মাস্টারের মিছিলেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৪৪ ধারা হলেও উক্ত আইন ভঙ্গ করেও তিনি যাতায়াত করতে পারতেন রাস্তায় রাজাকার আলবদর ও আল সামসের বাহিনীও তাকে ধরবে বা বাঁধা সৃষ্টি করবে সেও ক্ষমতাও ছিলনা। মিজানুর রহমান সাহেবের ব্যক্তিত্বের নিকট। তিনি শুধু জীবন বাঁচান নাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন অনেকের। পোস্ট মাস্টারের সুনামকে ধরে রেখে। আর এ রকম অনুপ্রেরনা পেয়েছিলেন ৩০এর দশকে সিরাজগঞ্জ ভিক্টোটিয়া স্কুলের ৭ম শ্রেণী পাশ ভাবী আমেনা বেগমের কাছ থেকে। নিজে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেই ক্ষান্ত হননি যোগ্য ভাতিজা আমজাদ হোসেন খানকে আদেশ উপদেশ দিয়ে যেমন কর্মের ব্যবস্থা করেছেন তেমনি নিজগ্রাম পেছরপাড়াসহ ০৬টি পোস্ট অফিস স্থাপনের অবদান রেখেছেন। ১৯৭১ সালে থানাতে অনেক বড় বড় কর্মকর্তা থাকলেও প্রাণ নিয়ে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত, অপমানিত ও নির্যাতন করা হত আর একজন সাব পোস্ট মাস্টার হয়ে কি ভাবে তার ব্যক্তিত্ব পোস্ট অফিসের সুনামকে কাজে লাগিয়ে ষোলআনাই ক্ষমতা খাটিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচিয়েছেলেন। আরও সম্ভ হয়েছিল পোস্ট অফিসের মত সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের জন্যে।
লেখক: কে.এম. মঞ্জুর মোরশেদ টুটুল
সাবেক-সহ-সভাপতি
বাংলাদেশ ছাত্রকেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটি