সৈয়দ শামীম শিরাজী: অনেক দিনের পুরাতন বয়সী প্রকান্ড গাছ ভেঙে পড়ে আশে পাশে বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। ইতিপূর্বে গাছের ডালের বিশাল অংশে মাথাটুকু ঘরের উপর পরে অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা পাবার ঘটনাও ঘটেছে। গাছে ভূতের আচর রয়েছে গাছের মালিককে স্বপ্নে নাকি গাছটি কাটতে মানা করা হয়েছে। সেকারণে গাছটি তিনি কাটার সৎ সাহস পাচ্ছেন না। এলাকাবাসীর জানায় যেকোনও সময় গাছটি ভেঙে পড়ে প্রাণহানীর সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানা গেছে, পুরাতন ভাঙ্গাবাড়ি স্কুল মাদ্রাসা মসজিদ সংলগ্ন মৃত সুজাবত আলী’র বাড়িতে বিশাল রোড কড়াই গ্রাছ রয়েছে। তিনি মারা যাবার পর তার দুই ছেলে আমজাদ ও এসতেহার বর্তমানে গাছটির মালিক। বেশ কিছুদিন পূর্বে ওই গাছের বড় একটি ডালের সম্মুখ ভাগের অংশ (বাকি অংশ গাছে ঝুলে ছিল) চামেলির ঘরের উপর পরে পাকা বাংলা ঘর ভেঙে পড়ে। ভাগ্যভাল যে ঘরে কেউ ছিল না। আর ডালটি পুরোটা ঘরের উপর পড়েনি। পড়লে ঘরে থাকা কেউ জীবিত থাকতনা বলে এলাকাবাসী জানায়। তারপর থেকে অজানা আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে ঝড়-বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া বইছে মাঝে মধ্যেই। এসময় সকলেই আতঙ্কে থাকে কখন কার ঘরে ডাল ভেঙ্গে পড়ে। আর কারবা প্রাণহানী ঘটে। অনতিবিলম্বে গাছটি কেটে সরিয়ে ফেলার জন্য ভুক্তভোগীরা সোচ্চার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় প্রাণহানী ঘটারও সম্ভবনা রয়েছে।
এব্যাপারে এলাকাবাসী অনেকবার নাকি গাছের মালিককে বিষয়টি অবহিত করার পর তিনি জানিয়েছেন এই গাছে ভূতের আচর রয়েছে। তাকে স্বপ্নে নাকি গাছটি কাটতে মানা করা হয়েছে। বিধায় গাছটি তিনি কাটার সৎ সাহস পাচ্ছেন না। এদিকে পুরান ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালিকদের জানায় গাছটি তাহলে মাদ্রাসায় দান করেন। ভূত-প্রেত কি করে মাদ্রাসা কমিটি বুঝবে। তাতেও কোনও সাড়া মেলেনি।
বর্তমানে গাছটি ঘিরে প্রায় দশ-বারটি পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। গাছের গোড়ায় মালিকও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। প্রবল বৃষ্টিপাতে এখন মাটি নরম হয়ে পড়ায় কখন যে গোড়াসহ উপড়ে পড়বে তার কোনও গ্যারান্টি নাই। এতে প্রাণহানীরও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে অভিজ্ঞ মহল জানিয়েছে।