স্টাফ রিপোর্টার: সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ইচ্ছামতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে যারা ব্যবসা করতে চান তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যাবে। ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি করেছেন। এটা মেনে নেওয়া হবে না। গত বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোদকল্পে করণীয় শীর্ষক এক জরুরি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, হিসাব করে দেখা গেছে তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাল, আটা, ডাল, চিনির দাম এক থেকে দুটাকা কেজিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায়ীরা এটা হিসাব করে জানিয়েছেন। অথচ কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা হারে বাড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলাতেও যেমন খাদ্যশস্য চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত রয়েছে, তেমনি সারাদেশে উদ্বৃত্ত রয়েছে। সুতরাং যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিসেস লুৎফুন্নাহার। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মনির হোসেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের পক্ষে আলহাজ্ব জুরান আলী, রেজাউল করিম রোকনী, ইয়াকুব আলীসহ জেলা সদর ও উপজেলা থেকে আগত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, চাল, আটা, ময়দা মিল মালিক, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এসময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য আর বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মূল্য কমানের চেষ্টা করবেন বলে জানান। সেক্ষেত্রে যারা বেশি মুনাফা করতে চাইবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে তারা সহযোগিতা করবেন।