গত সোমবার, ১৫ মে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের নিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হল রুমে “পরিবেশ বান্ধব উপায়ে মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ”এর আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন মো. লিয়াকত সালমান সহকারী কমিশনার (ভূমি ) উপজেলা প্রশাসন, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ। তিনি রোগাক্রান্ত বা মৃত পশু জবাই এর ক্ষেত্রে আইনের ধারা সম্বন্ধে ধারণা দেন।
অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. বেলাল হোসেন, মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের মাঠ পর্যায়ের প্রধান সমস্যা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ের সময় তিনি জানান, অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস প্রক্রিয়াকালে জীবাণু মানুষের দেহে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। তিনি সংশ্লিষ্টদের মাংসের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য মাংস প্রক্রিয়াজাতকারীদের হ্যান্ড গ্লোব, হেয়ার নেট, এপ্রোন এবং নিয়মিত মাক্স ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, এতে করে মাংসের দোকানের পরিবেশ উন্নত হবে এবং ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
অনুষ্ঠানে পশু জবাই এর আগে এবং জবাইয়ের পরে কি কি করণীয় এ সম্বন্ধে আলোচনা করেন বেঙ্গল মিটের ম্যানেজার (ডিপার্টমেন্ট অব লাইভস্টক সোর্সিং) মো. ইমরুল কায়েস। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিভাবে মাংস প্রক্রিয়া করলে বেশি মূল্য পাওয়া যাবে, এই সম্বন্ধে তিনি আলোচনা করেন। প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের লাইভস্টক অফিসার ডা. মো., তৌফিকুল হক, পরিবেশ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান, টেকনিক্যাল অফিসার ডা. মো. মুক্তাদির করিম খানঁ, মার্কেটিং অফিসার মো. আবু বক্কার সিদ্দিক, এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট অফিসার মো. আজাহার আলী । উল্লেখ্য, এনডিপি’র এসইপি ডেইরি প্রকল্পের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় “বাংলাদেশে যমুনা নদীবাহিত উত্তরাঞ্চলের ডেইরী বিজনেজ ক্লাস্টারকে নিরাপদ দুগ্ধ ও দুগ্ধজাতপণ্য উৎপাদনের জন্য পরিবেশ উন্নয়নের অনুশীলন প্রচার করা” উপ- প্রকল্পটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) সিরাজগঞ্জ জেলার ২টি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৪৫ টিগ্রামের ৩০০০ উপকারভোগীকে নিয়ে বাস্তবায়ন করে চলেছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য -পরিবেশ বান্ধব আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা মূলক ডেইরী উদ্যোক্তাদের শক্তিশালী করা এবং দুগ্ধজাত পণ্য উচ্চ মূল্যের বাজারে প্রবেশের সহযোগিতা করা।