আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ সিরাজগঞ্জের ৬০-৭০-৮০’র দশকের ‘সাহিত্য-সংস্কৃতিজনদের পুনর্মিলন উৎসব’ সফল করার উদ্দেশ্য গতকাল ঢাকা আহ্বায়ক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ-ফরিদা ইয়াসমিন সেতারা, মোহন রায়হান, দীনবন্ধু দাস, নাজমুল হক খোকন, সারা সালাউদ্দিন নূপুর সিরাজগঞ্জ সফরে যান।
তারা সিরাজগঞ্জের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আনোয়ার হোসেন রতু, মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কণ্ঠশিল্পী জান্নাত আরা হেনরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং উৎসব কমিটির সাংস্কৃতিক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক আসাদ উদ্দিন পবলু, গীটারশিল্পী আ্যডভোকেট আব্দুল হাই শেখের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা প্রত্যেকে অনুষ্ঠান সফল করতে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
সন্ধ্যায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মাহবুবুল হক পাঠাগারে’ সিরাজগঞ্জ লিয়াঁজো কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ সভায় জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করে দায়িত্ব বন্টন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জান্নাত আরা হেনরী, শ,ম শহীদুল ইসলাম, আবু বকর ভূঁইয়া, আসাদ উদ্দিন পবলু, আশরাফুল আলম চৌধুরী, আছির উদ্দিন মিলন, তোফা হাসান, মমিন বাবু, স.ম. আলাউদ্দিন, হাফিজুর সামাদ, জহুরুল ইসলাম রতন, শামস ই ইলাহী অনু, হীরক গুন, সৌপ্তিক সালাম, আবুল হাসান রবি, ইমরুল হাসান স্বপন, গৌতম সাহা, হুমায়ুন কবির, মুকুল মুস্তাফিজ, নূরে আলম হীরা, ফজলে খোদা লিটন, বিবেকান্দ দাস, মেহেদী হাসান, মোস্তাক আহমেদ নওশাদ, মনোয়ার হোসেন জিন্নাহ ও আরও অনেকে।
ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জের তিনদশকের লেখক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, কণ্ঠশিল্পী, নাট্যশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, চিত্রশিল্পীসহ সকল মাধ্যমের সংস্কৃতিজনদের প্রথম মিলনমেলা মহাউৎসবে পরিণত করার জন্য সবাই স্বতঃস্ফূর্ত, আন্তরিক, প্রাণবন্ত মতবিনিময় করেন এবং প্রত্যেকে মনপ্রাণ উজাড় করে উৎসব সফল করার অঙ্গীকারবদ্ধ হন।
সফরকারী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তিন দশকের সংস্কৃতিজনদের উত্থানস্থল, আগামী ১৮ ও ১৯ তারিখ পুনর্মিলন স্থান, স্মৃতিময় ‘সিরাজগঞ্জ ভাসানী পৌরমিলনায়তনও পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, উৎসবে সিরাজগঞ্জের সাহিত্য- সংস্কৃতির জৈষ্ঠ কৃতিজনদের সম্বর্ধনা প্রদান করা হবে। এবং তিন দশকের প্রয়াতজনদের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।