উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তারাবাড়িয়া গ্রামে করতোয়া নদীর পাশে ফসলি জমি কেটে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে স্থানীয় ভূমিখেকোগণ। বিশেষ করে রাতে মাটি কেটে ট্রাক যোগে অন্যত্র এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় ।
চর তারাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মাসুদ আকন্দ, নূর নবী হোসেন, আজিজ সরকার, রেজা সরকার ও ইসমাইল হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলেছেন, পার্শ^বর্তী বড় জুমলা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া আলম ও তার ভাই শান্তাসহ কয়েক ব্যক্তি ভেকু মেশিন লাগিয়ে করতোয়া নদীর পাড় সংলগ্ন ফসলি ভূমি ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে কেটে রাতের অন্ধকারে ট্রাক যোগে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছেন। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় এই মাটি কাটা। উল্লিখিত ব্যক্তিরা বলেন, তাদের ফসলি জমিগুলো পাশে অবস্থিত। এসব জমিতে ধান চাষ হয়ে থাকে। গভীর করে মাটি খননে তাদের ফসলি জমিগুলো এখন ভেঙ্গে যাচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে জমির বিরাট অংশ ভেঙ্গে নদীর মধ্যে চলে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। তারা মাটিকাটা লোকদের বারবার বাধা দিলেও এসব ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বাধা বিপত্তি আমলে নিচ্ছেন না। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। অভিযোগকারীরা অবিলম্বে তদন্ত করে মাটিকাটা বন্ধ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গোলাম কিবরিয়া আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নদীর পাড়ে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, যেসব জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে এগুলো সবই তাদের নিজস্ব। আলম জানান, যে সব জায়গা অসমতল সেগুলো সমান করা হচ্ছে। পরবর্তীতে খননকৃত খালে বালি ভরাট করে সেখানে তারা গরুর খামার করবেন। ফলে পার্শ^বর্তী ভূমির মালিকদের জমি আর ভেঙ্গে যাবে না।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চর তারাবাড়িয়া গ্রামের লোকজনের অভিযোগপত্র পেয়ে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) মাটি কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি অবিলম্বে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।