নাহিদ হাসান রবিন (শেরপুর, বগুড়া প্রতিনিধি): বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার পলি পলাশ গ্রামে গড়ে উঠেছে বিশাল কৃষি খামার। শিক্ষিত খামারী আমিনুর রহমান সাবলম্বী হয়েছেন এই খামার গড়ে। কর্মসংস্থান হয়েছে এলাকার ২৫ যুবকের।
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার পলি পলাশ গ্রামের আমিনুর রহমান ২০০৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করে চাকরি না করে নিজ গ্রাম (শাজাহানপুর-শেরপুর-ধুনট) উপজেলার সীমান্ত এলাকার এক নিভৃত পল্লীতে গড়ে তুলেছেন ‘ভিলেজ অর্গানিক এগ্রো খামার’ নামক এক বিশাল কৃষি খামার। প্রথমে সবজি, পুকুর ও গরু দিয়ে ছোট আকারে শুরু করেন। ব্যবসার আশানুরুপ সফলতা পেয়ে ২০১৬ সালে পৈত্রিক জমি ও লিজ নেয়া মোট ৪০ বিঘা জমি জুড়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে ব্যাপকভাবে খামারের কাজ শুরু করেন।
এখানে ২৫ বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে বিশাল পুকুর। যেখানে বড় মাছের পাশাপাশি পাবদা ও টেংরা মাছ চাষ হয়। বাঁকি ১৫ বিঘা জুড়ে রয়েছে দেশি-বিদেশি ফল, সবজি, কাঠ ও ঔষধী গাছের বাগান। এক কোনায় রয়েছে একটি ছোট আকারের নার্সারি। বর্তমানে খামারে রয়েছে ২ হাজারের বেশি হাঁস ও মুরগী। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার থেকে ১২০০ ডিম আসে এখান থেকে। রয়েছে প্রায় ১ হাজারের মতো নানা প্রজাতির কবুতর। ৩টি শেডে উৎপাদন হয় জৈব সার। যা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রয় হয়। এছাড়া আরএসএফের সহযোগিতায় ৭৫ ঘনফুট উৎপাদন ক্ষমতার একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট রয়েছে। যা থেকে এলাকায় চল্লিশটি চুলায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। খামারটি শুধু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই নয়, অনেকটা পার্কের মতো। এলাকার অনেক লোকজন অবসরে ঘুরতে আসেন এখানে। আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমানে এই খামারে ২৫ জন লোক স্থায়ীভাবে কাজ করে। এছাড়া প্রচুর দিনমজুর এখানে কাজ করার সুযোগ পায়। তিনি জানান বছরে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা এই খামার থেকে আয় হয়। আগামীতে এখানে আরো প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি আশাবাদী।