উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: বন্ধু হয়ে বন্ধুকে অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এমনটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বড়পাঙ্গাসী গ্রামে।
উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর রাতেই উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের পর ১২ ঘন্টার মধ্যই অপহৃত যুবক রিপন আলী (২০)কে হাত পা ও চোখ বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে।্ এসময় অপহরণকারী দলনেতা সৈকত শেখকে গ্রেফতার করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাতে রিপনের বন্ধুরা তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে।
শনিবার দুপুরে উল্লাপাড়া ও তাড়াশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সুত্রধর ও উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম যৌথভাবে থানায় প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান, উপজেলা বড়পাঙ্গাসী গ্রামের জুলহক প্রামানিকের ছেলে রিপন আলীকে তার বন্ধু একই গ্রামের মৃত মান্নান শেখের ছেলে জাতীয় তরুণ সংঘ বড়পাঙ্গাসী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সৈকত শেখ ও তার বন্ধুরা মিলে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে বড়পাঙ্গাসী স্কুল মাঠে আসতে বলে।
রিপন সেখানে আসলে কয়েক বন্ধুরা মিলে মারপিঠ করে মুখে স্কসটেপ লাগিয়ে তার হাত,পা ও চোখ বেধে গ্রামের আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে তাকে ফেলে রাখে। অপহণকারী বন্ধুরা ওই রাতেই রিপনের মোবাইল ফোন দিয়ে তার সদ্য ইতালী থেকে দেশে ফেরা বড় ভাই প্রবাসী নাসির আলীকে ফোন দিয়ে ৩০ লাখ টাকা রিপনের জন্য মুক্তির দাবী করে। অপহরণকারীরা ফোনে জানান এই টাকা দিতে অবাধ্য হলে তার ছোট ভাইয়ের লাশও তারা ফিরে পাবে না বলে হুমকি দেয়।
এই ঘটনার পর ১৫ ডিসেম্বর নাসির আলী উল্লাপাড়া মডেল থানায় এ ব্যাপারে একটি জিডি করেন। পরে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী দলনেতা সৈকত শেখকে ১৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে।
দলনেতা সৈকত শেখের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে উক্ত আব্দুল হালিমের পরিত্যক্ত বাড়ির পাশ থেকে রিপনকে হাত, পা ও চোখ বাধা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী পুলিশ উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান বাকি অপহরণকারী আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।