সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাষার মাসে বর্ণাঢ্য বর্ণমালার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান নেতৃত্বে ব্যাতিক্রমী বর্ণমালার মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
এসময় বর্ণমালা মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম বার, পিপিএম বার, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল সামাদ তালুকদার, উল্লাপাড়া উপজেলার সাবেক সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, স্থানীয় সরকার এর উপপরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রায়হান কবির, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিরাজগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, প ও র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার, বেলকুচি প ও র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিলটন হোসেন, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুল মতিন মুক্তাসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বর্ণমালার মিছিল শেষে মুক্তির সোপানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বীর শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন মহান ভাষা আন্দোলনের মাস ‘ফেব্রুয়ারি’ ।এবং ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধ সূচিত হয়। এজন্য এই ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। তিনি আরও বলেন্, বাংলা আমার মাতৃভাষা -বাংলা মোদের রাষ্ট্র ভাষা। জেলা প্রশাসক এসময় এই বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে যথাযথ ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল (বিপিএমবার বিপিএমবার), জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, উল্লাপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান (সাবেক সংসদ )শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, প্রেক্লাবের সভাপতি হেলাল আহমেদ প্রমুখ।
ভাষার মাসের শুরুতে সিরাজগঞ্জ জেলার নবাগত প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের ব্যাতিক্রমী বর্নাঢ্য বর্ণমালার মিছিলের কর্মসূচি থেকে আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের ছাত্র- ছাত্রীরা জানতে পারবে বাংলা ভাষার সঠিক ইতিহাস।