গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী: দাম তুলনামূলক বেশি এবং রাসায়নিক সারে মাটির ক্ষতির পরিমান বেশি হওয়ায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন। কেঁচো সার উৎপাদনে লাভবান হওয়ায় এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে কেঁচো সার উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদনকৃত কেঁচো সার ও সার তৈরীর জন্য জীবিত কেঁচো স্থানীয় কৃষক, ড্রাগন চাষি, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিরাসহ এনজিও কর্মীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় জেলায় প্রায় তিন হাজার কৃষক কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। যার প্রতিমাসে উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রথমে সিমেন্ট দিয়ে রিং বা বেড় তৈরী করা হয়। একটি বেড় তৈরি করতে প্রায় ২ হাজার টাকার খরচ হয়। তবে খরচ কমাতে বেড় সিমেন্ট ছাড়া অন্য ভাবেও তৈরী করা যায়।
১টি বেড়ে প্রাথমিক কাঁচামাল হিসেবে ১হাজার ৫০০ কেজি গরুর কাঁচা গোবর দিয়ে তার মধ্যে ৬ কেজি কেঁচো দেয়া হয়। ৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বেড় থেকে প্রায় এক হাজার কেজি কেঁচো সার ও ১৮ কেজি কেঁচো পাওয়া যায়।কেঁচো সার প্রতিকেজি ১২- থেকে ১৫টাকা এবং কেঁচো প্রতিকেজি ১হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের টুক্কু মুক্তার বলেন, ‘২০২০ সালে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে মাটির নিচে সাধারণ পলিমাটি দিয়ে ইটের বেড়া ও গোবরের উপরে পরিত্যক্ত পাটের ছালা দিয়েই বেড় তৈরি করি এবং প্রাথমিকভাবে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করি। এর পর আবারো প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০টি রিং সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়ে একটু বড় আকারে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করি । বর্তমানে ৭টি বেড়ের মধ্যে ৩টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি ৪টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো অল্পকিছু দিনের মধ্যে তুলবেন বলে জানান তিনি আরও জানান, কেঁচো সারের বেশ চাহিদা রয়েছে। কেঁচো ও সার স্থানীয় কৃষক, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিরাসহ এনজিও কর্মীরা কিনে নিয়ে যান।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, ‘মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেঁচো সারের বেশ চাহিদা রয়েছে। ‘কেঁচো সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়াও মাটির প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির পানির ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে ফসলের ফলন ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে। কৃষি বিভাগ থেকেও এই সার উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গাজী শাহাদত হোসেন ফিরোজী: দাম তুলনামূলক বেশি এবং রাসায়নিক সারে মাটির ক্ষতির পরিমান বেশি হওয়ায় রাসায়নিক সারের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) সার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন। কেঁচো সার উৎপাদনে লাভবান হওয়ায় এবং চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে কেঁচো সার উৎপাদন করা হচ্ছে। উৎপাদনকৃত কেঁচো সার ও সার তৈরীর জন্য জীবিত কেঁচো স্থানীয় কৃষক, ড্রাগন চাষি, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিরাসহ এনজিও কর্মীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় জেলায় প্রায় তিন হাজার কৃষক কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। যার প্রতিমাসে উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার টন। সংশ্লিষ্টরা জানায়, প্রথমে সিমেন্ট দিয়ে রিং বা বেড় তৈরী করা হয়। একটি বেড় তৈরি করতে প্রায় ২ হাজার টাকার খরচ হয়। তবে খরচ কমাতে বেড় সিমেন্ট ছাড়া অন্য ভাবেও তৈরী করা যায়।
১টি বেড়ে প্রাথমিক কাঁচামাল হিসেবে ১হাজার ৫০০ কেজি গরুর কাঁচা গোবর দিয়ে তার মধ্যে ৬ কেজি কেঁচো দেয়া হয়। ৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বেড় থেকে প্রায় এক হাজার কেজি কেঁচো সার ও ১৮ কেজি কেঁচো পাওয়া যায়।কেঁচো সার প্রতিকেজি ১২- থেকে ১৫টাকা এবং কেঁচো প্রতিকেজি ১হাজার থেকে ১ হাজার ২০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের টুক্কু মুক্তার বলেন, ‘২০২০ সালে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রথমে মাটির নিচে সাধারণ পলিমাটি দিয়ে ইটের বেড়া ও গোবরের উপরে পরিত্যক্ত পাটের ছালা দিয়েই বেড় তৈরি করি এবং প্রাথমিকভাবে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করি। এর পর আবারো প্রশিক্ষণ নিয়ে ১০টি রিং সরকারিভাবে বরাদ্দ পেয়ে একটু বড় আকারে কেঁচো সার ও কেঁচো উৎপাদন শুরু করি । বর্তমানে ৭টি বেড়ের মধ্যে ৩টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি ৪টি বেড়ের কেঁচো সার ও কেঁচো অল্পকিছু দিনের মধ্যে তুলবেন বলে জানান তিনি আরও জানান, কেঁচো সারের বেশ চাহিদা রয়েছে। কেঁচো ও সার স্থানীয় কৃষক, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিরাসহ এনজিও কর্মীরা কিনে নিয়ে যান।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, ‘মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কেঁচো সারের বেশ চাহিদা রয়েছে। ‘কেঁচো সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়াও মাটির প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির পানির ধারণক্ষমতা বাড়িয়ে ফসলের ফলন ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে। কৃষি বিভাগ থেকেও এই সার উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।