বেলকুচিসিরাজগঞ্জ

বেলকুচি-এনায়েতপুরে থামছেনা অবৈধ বালু উত্তোলন

বেলকুচি সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার বেতিল-আশান নগরে প্রভাবশালী চক্র জোড় করে কৃষি জমি হতে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত বেকু গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারপরও থামছে না বেতিল স্পার বাধের দক্ষিন পাশ থেকে ট্রাক দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেলকুচি বড়ধুলের বেলিরচর ও এনায়েতপুরে বেতিল-আশান নগরে কতিপয় প্রভাবশালীর নেতৃত্বে বালু লুট বন্ধে প্রশাসন কার্যকরি পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী অসহায় হয়ে পড়েছে। এদিকে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এনায়েতপুর থানার আজুগড়া গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি গত ৩ বছর ধরে প্রভাব খাটিয়ে বেতিল আশান নগরে কৃষকের জমি থেকে জোড় করে বালু উত্তোলন করছে। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হলে অব্যহত রয়েছে বালু কাটার কাজ। তাদের অত্যাচারে অসহায় হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

 এ ব্যাপারে মাজগ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, আমাদের কারও কথায় কর্ণপাত করেন না সন্ত্রাসী মান্নান ফকির। প্রশাসনসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই এসব চলে, তারা বলে বেড়ায়।

সরেজমিনে দেখা যায় মাটিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেতিল স্পারটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে বালু উত্তোলন নিয়ে এখন এলাকাবাসী ও ২টি গ্রুপ এখন মুখোমুখি। এনিয়ে মাঝে-মাঝেই সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হচ্ছে। যেকোন সময় তা আরও বড় আকার ধারন করার আশংকা করছে স্থানীয়রা।

বিষয়টি নিয়ে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, বেলকুচির বড়ধুলে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের কারনে ভুমি অফিসের তহশিলদার তারেক হোসেন বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। কোথাও অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবেনা। আমরা দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button